পাতা:বিভূতি রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).djvu/৩৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७२8 विङ्कडि-ब्रध्नांबणैौ —তুমিও নাও, আমি একা থাবো বুঝি ? বিপিনের এই সময়ে মনে হইল মনোরমার কথা । বেচারী কখনো টকি ৰাম্বোস্কোপ দেখে নাই–সংসারে শুধু খাটিয়াই মরে । একদিন তাহাকে রাণাঘাটে জানিয়া টকি দেখাইতে হইবে —বীণাকেও । সে বেচারীই বা সংসারের কি দেখিল । মা বুড়োমানুষ, তিনি এসব পছন্দ করিবেন না, বুঝিবেনও না, তিনি চান ঠাকুরদেবতা, তীর্থধৰ্ম্ম । VG পুনরায় ছবি আরম্ভ হইবার ঘণ্টা পড়িল । দুজনে আবার গিয়া ভিতরে বসিল । শেষের দিকে ছবি আরও করুণ হইয়া আসিল । এক জায়গায় শাস্তি ফুপাইয়া কাজিতেছে দেখিয়া বিপিন বলিল- ও কি শাস্তি ? তুমি এমন ছেলেমান্বষ। কাদে না অমন করে—ছি—চল বাইরে যাবে ? শাস্তি ঘাড় নাড়িয়া বলিল- উহু – —উছ তো কেঙ্গো না। লোকে কি তাকবে ? ছবি শেষ হইতে বাহিরে আসিয়া শাস্তি চুপচাপ থাকিয়া পখ চলিতে লাগিল। স্টেশনের কাছে আসিয়া বিপিন বলিল, চলো—ইষ্টিশান দেখবে ? — চলুন। আলোকোজ্জল প্ল্যাটফৰ্ম্ম দেখিয়া শাস্তি ছেলেমান্বষের মত খুশি । শাস্তিকে স্বন্দরী মেয়ে বলা যায় না, কিন্তু তাহার নিজস্ব এমন কতকগুলি চোখের ভঙ্গি, হাসির ধরন প্রভৃতি আছে যাহা তাহাকে স্বন্দরী করিয়া তুলিয়াছে। বাহির হইতে প্রথমটা তত চোখে পড়ে না এসব— বিপিন এতদিন শাস্তিকে দেখিয়া আসিতেছে বটে, কিন্তু আজ প্রথম তাহার মনে হুইল— শাস্তি যে এমন স্বন্দর দেখতে, এমন চোখের ভঙ্গি ওর—এ এতদিন তো ভাবিনি? আসল কথা, কোথা হইতে বিপিন এতদিন শাস্তির রূপ দেখিবে । আজ ছাড়া পাইয়া মুক্ত, স্বাধীন অবস্থায় শাস্তির নারীত্বের যে দিক ফুটিয়াছে তাহাই তাহাকে স্বন্দী করিয়া তুলিয়াছে। এ শান্তি এতদিন ছিল না। কাল হইতে আবার হয়তে থাকিবেও না। শাস্তির মধ্যে যে নায়িক এত কাল ছিল ঘন ঘুমে অচেতন, আজ সে জাগিয়াছে। অপরূপ তার রূপ, . অদ্ভুত তার ঐশ্বৰ্য্য। বিপিন ইহা ঠিক বুঝিল না। লে ভাবিল, আজ তাহার সহিত একা বাহির হইয়া শান্তি নিজের যে রূপ দেখাইতেছে— তাহা এতদিন ইচ্ছা করিয়াই ঢাকিয়া রাখিয়া দিয়াছিল। এটুকু অভিজ্ঞতা বিপিনের বহুদিন হইয়াছে যে, মেয়ের সকলকে নিজের রূপ দেখায় না-যখন যাহার কাছে ইচ্ছা করিয়া ধরা দেৱ-সে-ই কেবল দেখিতে পায় । বিপিন কিছু অশ্বস্তি বোধ করিতে লাগিল।