পাতা:বিভূতি রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).djvu/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩e বিভূতি-রচনাবলী —মড়ই পোড়া বামুনটা বড় বড় বাড়িয়েচে, আর তো সন্ধি হয় না— —কি আর করবে বল । আমি ভাবছি— —কি ? —কাল একবার হাজারির হোটেলে আমি ধাই— —কেন, কি দুঃখে । —ওকে বলি আমার হোটেলে তুমি অংশীদার হও, রেলের হোটেলের অংশ কিছু আমায় দাও— পদ্মঝি ভাবিয়া বলিল—কথাটা মন্দ নয়। কিন্তু যদি তোমায় না দিতে চায় ? —আমাকে খুব মানে কিনা তাই বলছি। এ না করলে আর উপায় নেই পদ্ম । হোটেল আর চালাতে পারবো না। একরাশ দেনা—খরচে আয়ে আর কুলোয় না। এ আমায় করতেই হবে । পদ্মবিয়ের মুখে বেদনার চিহ্ন পরিস্ফুট হইল। বলিল—ম্বা ভাল বোঝ কর কর্তা। আমি কি বলব বল | কিছুক্ষণ পরে বহু বাড়ুধ্যে পুনরায় বেচুর হোটেলে আসিয়া বসিল । বেচু চৰুত্তি খাতির করিয়া তাহাকে চা খাওয়াইল । তামাক সাজিয়া হাতে দিল । তামাক টানিতে টানিতে যদু বলিল—একটা মতলব মনে এসেছে চকত্তি মশায়—তাই আবার এলাম ।

  • বেচু সকৌতুহলে বলিল—কি বলুন তো ?

—আমি পালচৌধুরীদের নায়েব মহেন্দ্রবাবুকে ধরেছিলাম। ওঁর। জামদার, ওঁদের খাতির করে রেল কোম্পানী । মহেন্দ্রবাবুর চিঠি নিয়ে কাল চলুন, আপনি আর আমি কলকাতা রেল জাপিসে একবার আপীল করি গিয়ে । BBB BBBB BDD BBS BB BBBSBB BB BBB BBS BDSggB BB BBBB BBBS ও মডুই পোড়া বামুন হোটেল না পায় তা করাই চাই, দু'জনে তাই যান— বেচু চকত্তি ভাবিয়া বলিল—কখন যেতে চান কাল ? ষদ্ধ বলিল—সকাল সকাল যাওয়াই ভাল। বড় বাবুকে ধরতে হবে গিয়ে—পালচৌধুরীদের পুকুরে মাছ ধরতে আসেন প্রায়ই । গরফেতে বাড়ী, বড় ভাল লোক । মহেন্দ্রৰাৰুর চিঠি নিয়ে গিয়ে ধরি। ধন্থ চলিয়া গেলে বেচু চক্কত্তি পদ্মকে বলিল—কিন্তু তাহলে হাজারির কাছে আমার ওভাবে যাওয়া হয় না। ও সব টের পাবেই যে আমরা আপীল করেছি, ওকেও নোটিশ দেবে কোম্পানী । আপলের শুনfনী হবে। তারপর কি আর ওর কাছে ৰাওয়া যায় ? —লা হয় না গেলে । ওর দরকার নেই, যাতে ওর উচ্ছেদ হয় তাই কর । —বেশ, স্বী ৰল । পরদিন বন্ধু বাড়ুষ্যের সঙ্গে বেচু চকত্তি কয়লাঘাটে রেলের বড় আপিলে বাইৰে ৰলিয়৷