পাতা:বিভূতি রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).djvu/৩৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

cयगैौशैब्र शूलवांसैंौ O86 —জাঞ্জে হ্যা, ওবছর বিয়ে হয়ে গিয়েচে । ছেলেটি দেখিতে খুব স্বত্র, স্বপুরুষ । অল্প বয়সে বিবাহ হওয়াটা আশ্চৰ্য্য নয় বটে। কিছুক্ষণ বসিয়া থাকিবার পরে ছেলেটি সেদিন চলিয়া গেল। তাহার পর হইতে মাঝে মাঝে সে প্রায়ই আসিত। এ গ্রামে প্রতুল নতুন আসিয়াছে, বিশেষ কাহারও সহিত পরিচয় নাই, এ অবস্থায় একজন তরুণ বন্ধু লাভ করিয়া প্রতুলও খুশি হইল। সময় কাটাইবার একটা উপায় হইল। সন্ধ্যাবেলাটা দুজনে গল্পগুজবে কাটিয়া যাইত । একদিন শশধর প্রতুলকে বাড়ীতে খাওয়ার নিমন্ত্ৰণ করিল। শশধরের মা তাকে ছেলের মত যত্ব করিয়া খাওয়াইলেন, শশধরের বোন কণা তাকে প্রথম দিনেই প্রতুলদা বলিয়া ভাকিল—এই নিৰ্ব্বান্ধব পল্লীগ্রামে ইহাদের স্নেহসেবা প্রতুলের বড় ভাল লাগিল সেদিন। ইহার পর অফিস হইতে প্রতুল নিজের বাসায় ফিরিতে না ফিরিতে শশধর প্রতুলকে ভাকিয়া নিজের বাড়ীতে প্রায়ই লইয়া যায়—প্রায়ই বৈকালিক চা-পানের ও জলযোগের ব্যবস্থা সেখানেই হইয়া থাকে। দিনকতক যাইবার পরে প্রতুল ইহাতে সঙ্কোচ বোধ করিতে লাগিল। শশধরদের সাংসারিক ব্যবস্থা বিশেষ সচ্ছল নয়, রোজ রোজ তাহার জলযোগের জন্য উহাদের খরচ করাইতে প্রতুলের মন সায় দিল না। সে খাওয়া বন্ধ করিল। অবশু মুখে সোজাস্বজি কোন কিছু বলিতে পারা সম্ভব ছিল না—তবে যাইবার ইচ্ছা না থাকিলে ওজর আপত্তির অভাব হয় না। একদিন শশধর আসিয়া বলিল—আজ যেতেই হবে প্রতুলদা—কণা বলেছে তোমাকে নিয়ে না গেলে সে ভয়ানক রাগ করবে আমার ওপর। প্রতুল আশ্চর্ঘ্য হইয়া বলিল—কশা । —হঁ্যা হ্যা, কণা—আমার ছোট বোন । তুলে গেলেন নাকি ? চলুন আজ। প্রতুলের মনে বিস্ময় এবং আনন্দ দুই-ই হইল। কণার বয়েস পনেরো বোল-রং ফর্সা, বেশ স্বত্র মেয়ে। কথাবাৰ্ত্ত বলে চমৎকার-পাড়াগায়ের তুলনায় লেখাপড়াও জানে ভাল। তাহার সম্বন্ধে কণা আগ্রহ দেখাইয়াছে কথাটা শুনিতে খুব ভাল । কণা সেদিন প্রতুলের কাছে কাছেই রহিল। কয়দিন না দেখাশোনার পরে দুজনেরই দুজনকে যেন বেশী করিয়া ভাল লাগিতেছে। ফিরিবার সময় প্রতুলের মনে হইল, কণাকে আজ যেন তাহার অত্যন্ত আপন জন বলিয়া মনে হইতেছে । কেন ? নির্জন বাসায় ফিরিয়া কথাট। সে ভাবিগ। কণ মেয়েটি ভাল, সত্যই বুদ্ধিমতী, সেবাপরায়ণা। তাহাদেরই পালটি ঘর । আহ, এই জন্যই কি শশধরের এ তাগাদ{—তাহাকে ঘন ঘন বাড়ী লইয়া যাইবার জন্য ? কথাটা মনে হইবার সঙ্গে সঙ্গে এ চিন্তাও তাহার মনে ন. আসিয়া পারিল না, তাই কণার অত গায়ে পড়িয়া আলাপ করার ঝোক তার সঙ্গে ! প্রতুল আবার শশধরদের বাড়ী যাওয়া বন্ধ করিল। শশধর আসিয়া পীড়াপীড়ি আরম্ভ করিতে আদৌ বিলম্ব করিল না। এবার কিন্তু প্রতুল