পাতা:বিভূতি রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).djvu/৩৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

cवनैशैब्र शूलबाएँौ ©öግ কণার কি কর্তব্যজ্ঞান, রুগ্ন মায়ের কি সেবাটাই করিতেছে কণা। এত ছঃখে উদ্বেগেও কণার স্বন্দর রূপ মান হয় নাই। অনেক মেয়েকে সে দেখিয়াছে—সাজিলে গুজিলে স্বত্র বলিয়া মনে হয়, কিন্তু মলিন কাপড় পরিয়া থাকিলে বা চুল না বাধা থাকিলে কিংবা হয়তো সন্ত ঘুম হইতে ওঠা অবস্থায় দেখিলে বড় খারাপ দেখায়। কণার রূপের মধ্যে একটা কিছু আছে যাহাতে কোন অবস্থাতেই খারাপ দেখায় না। এত অনিয়ম, রাত্রি জাগরণ, উদ্বেগ, পরিশ্রমের মধ্যেও কণা তেমনই ফুটন্ত ফুলটির মত তাজা, তেমনই লাবণ্য ওর স্বকুমার মুখে । কণার সম্বন্ধে এই একটি মূল্যবান সত্য আবিষ্কার করিয়া প্রতুল আনন্দিত ও বিস্মিত দুই-ই হইল । ইহার পর প্রতুল কয়দিনই কণাদের বাড়ী নিয়মিত যাইতে লাগিল—রোগিণীর সেবায় সেও কণাকে সাহায্য করিত— স্টোভ জালা, জল গরম করা, বিছানার-চাদর বদলানোর সময় রোগিণীকে বিছানার একপাশে সরানো, ডালিম বেদানার দানা ছাড়ানো। পঞ্চম দিনের প্রাতঃকালে কণার মা যখন ইহলোকের মায়া কাটাইয়া চলিয়া গেলেন তখন সেই শোকসস্তপ্ত পরিবারকে সে যথাযোগ্য সাত্বনা দিবার চেষ্টা করিতে লাগিল, দাহকার্ষ্যের খরচপত্র নিজ হইতে দিল, কারণ শশধর একেবারে কপদকশূন্ত সেদিন । নিজে শ্মশানে গিয়া শেষ পৰ্য্যন্ত রহিল। আবার সকলের সঙ্গে সেখান হইতে কণাদের বাড়ী ফিরিয়া আগুন তাপিল এবং নিমের পাতা দাতে কাটিল। - কণা আজকাল প্রতুলের দিকেও বড় টানে, তাহার স্থখ দুঃখ, সে রাত্রে ঘুমাইল কিনা, তাহাকে চা ঠিক সময়ে দেওয়া এবং সেই সঙ্গে কিছু না হোক এক মুঠ মুড়ি ও তেল মুন মাখিয়া দেওয়া–এসব দিকে কণার সতর্ক দৃষ্টি—এত দুঃখ বিপদের মধ্যেও—ইহাও প্রতুলের মনে বড় আনন্দ দিয়াছে কয়দিন । প্ৰাদ্ধের আগের দিন প্রতুল শশধরকে নিজের মাহিন হইতে কুড়িটি টাকা দিয়া তাহাকে কি করিতে হইবে না হইবে পরামর্শ দিল, জিনিসপত্র ও লোকজন খাওয়ানোর ফর্ম ধরিল। সামান্ত তিলকাঞ্চন শ্রাদ্ধ হইবে—শ্রাদ্ধের দিন বারোটি ব্রাহ্মণ এবং নিয়মভঙ্গের দিন জন পনেরো জ্ঞাতি-কুটুম্ব খাইবে। এসব কথা কণাদের বাড়ী বসিয়াই হইতেছিল- পরামর্শান্তে প্রতুলকে বসাইয়া রাখিয়া শশধর কোথায় বাহির হইয়া গেল। প্রতুলের বসিয়া থাকিবার কারণ সে এখনও বৈকালিক চা পান করে নাই, না থাইয়া গেলে কণা চটিয়া যাইবে । কণা চা লইয়া ঘরে ঢুকিল, প্রতুল কণার হাত হইতে পেয়ালাটি লইয়া বলিল-বলে কণা। কালকার সব যোগাড় করে রাখে—ফর্ম দিয়েছেন নবীন ভটচায্যি ! সন্ধ্যের পর একবার দেখে নিও সেখানা—শশধর কেনাকাটা করতে গিয়েছে, যদি কিছু বাদ পড়ে, আনিয়ে নিও। --আপনি টাকা দিলেন ? —আমি ? ই—তা ইয়ে—