পাতা:বিভূতি রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).djvu/৩৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\O(tv विङ्कडि-ब्रळनांषली সঙ্গীতজ্ঞ ভোলানাখ বলল, ইস্কুলে বলে গান ? বজ্ঞেশ্বর বলল, আরে গর্দভ, টিফিনের সময় গাইৰি তো তাতে কি হয়েছে ? নে পেই গানটা আরম্ভ কয়, সেই ভুলি ভুলি করি ভুলিতে নারি’... ... জগত্যা ভোলানাখ গলা ছেড়ে গান ধরল। গায়ক ভোলানাথের স্কুলে বেশ নাম- অাছে। জামি জানালার ফাক দিয়ে দেখছিলুম। সেখানে ঢোকবার হুকুম নেই কারণ সে হচ্ছে বড়দের আসর। গান বেশ ভালে ভালে চলতে লাগল। এমন সময় কোথা থেকে হেডমাস্টার মশাই সেখানে নিঃশকে এসে হাজির হলেন। কে যেন ভোলানাথের গলাটা দুহাত দিয়ে চেপে ধরল। লিডারদের মুখ শুকিয়ে পাংশু হয়ে গেল। তাদের বীরত্ব আম্ফালন চিরতরে অস্তমিত হল। হেডমাস্টার মশায় ভোলানাথের কান ধরে দাড় করিয়ে তার দ্বগালে ঠাল ঠাস করে দুটো চড় মেরে বললেন, এটা বাগানবাড়ী নয় । তারপর অন্যান্ত শ্রোতাদের এক এক চড় মেরে তিনি যেমন নিঃশব্দে এসেছিলেন তেমন নিঃশষে সেখান থেকে প্রস্থান করলেন । লিডারদের তখন রক্ত গরম হয়ে গেছে । কেউ বলল, সেক্রেটারীর কাছে অ্যাপ্লিকেশন করবে। কেউ বলল, মজা দেখাবে। কিন্তু কারুর মজা দেখাতে কিংবা অ্যাপ্লিকেশন করতে সাহস হল না। পরন্তু সকলে একবাক্যে স্বীকার করল যে হেড়মাস্টার মশাই ভারী রাশভারী এবং কড়া মেলাজের লোক । বাজৰিক ইস্কুলের সকলেই তাকে রীতিমত সমীহ করে চলত। অল্পদিনের মধ্যেই গ্ৰামময় তার স্বনাম রটে গেল আদর্শ শিক্ষক হিসেবে। তাকে সকলে ভক্তি শ্রদ্ধা করতে লাগল। তিনি ছিলেন ছাত্রদের সাহায্যের জন্য সৰ্ব্বদা প্রস্তুত। যে ধর্থম যা প্রশ্ন করত তিনি তখনই তার উত্তর দিতেন। ছেলেদের মঙ্গলের জন্তে তিনি সব সময়ে উন্মুখ ছিলেন। র্তার মধ্যে কোথাও একটুকু গৰ্ব্ব ছিল না। তার মুখ কোনসময়ে হাস্যমধুর, কোনসময়ে ৰাগাষ্ঠীর্ষ্যে অটল-প্রায় । সেই যে কথা আছে না 'বজাদপি কঠোরাণি মৃদুনি কুষমাদপি', হেডমাস্টার মশায় ছিলেন ঠিক সেই রকম। ছেলেরা কোন অন্যায় করলে তিনি তখন কঠোর শান্তি দিতেন, আবার ছেলেরা কোন ভাল কাজ করলে তিনি তাদের প্রাণ ঢেলে पछांच्णबांनाङन । মাস কয়েক পরে শুনলুম তার নাকি বিয়ে, এমন কি আমারই কাকার মেয়ে উষার সঙ্গে । উষাকে দেখতে ছিল ফুটফুটে ফুলের মত । দুজনকে চমৎকার মানায়। হারাণ চকোত্তি বললেন, আমন সোনার টুকরো মাস্টারকে সংসারী না হলে কি মানায় মুখুজে মশাই ? আমরা থাকতে এমনি করে ভেসে ভেসে বেড়াবে ? মুঙ্গে মশাই বললেন, কিন্তু বিয়ে যে করতে চাইছে না। চকোক্তি বললেন, ক্ষ্যাপা। বিয়ে কর বলেই বুঝি ছেলের রাজী হয় ? কলিকালে সব উল্টে খেছে। ওরা মুখে প্রথমে ওরকম বলে থাকে। তুমি দেখে নিও, ও বিয়ে করবে।