পাতা:বিভূতি রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).djvu/৩৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Bgbo বিভূতি-রচনাবলী _ আমি বললুম, তিনি প্রকৃতিকে ভালবাসতেন। তার বিশ্বাস ছিল যে প্রকৃতির প্রাণ आोराछ् । তিনি বললেন, বেশ, বেশ । বল তো এই জায়গাটার মানে কি ? “How many you are, the n” said I “If they two are in Heaven 7° Quick was the little maid's reply “O Master We are seven.” অনেকেই তার কথার মানে করে গেল । তিনি তখন বললেন, কেউ আর কিছু জান ? কেউ আর উত্তর করতে পারল না। আমি বললুম, ঐ মানে আমরা শিখেছি। তিনি মৃদ্ধ হাসলেন, বললেন, তোমাদের মানে ঠিকই হয়েছে। ওর আর একটা বিশেষ অর্থ আছে। আমরা সকলে অবাক হয়ে তার পানে তাকিয়ে রইলুম। তখন তিনি আমাদের বললেন, আত্মার অমরত্বের কথা। আমরা মন্ত্রমুগ্ধের মত শুনে গেলুম। সে ব্যাখ্যা এখনও আমার বেশ মনে আছে। শেষে তিনি বললেন, তোমাদের ক্লাসের ফাস্ট বয় কে ? আমি উঠে দাড়ালুম, তিনি বললেন, ও, তোমার সঙ্গেই না সেদিন দেখা হয়েছিল ? তোমার নাম নিৰ্ম্মলচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় না ? বললুম, হ্যা। এর পর তার সঙ্গে আমার পরিচয় খুব গভীর হয়ে উঠল। তিনি প্রায়ই আমায় ছুটির পর আপিস ঘরে নিয়ে কত স্বন্দর স্বন্দর বই পড়তে দিতেন। যে জায়গাটা বুঝতে পারতুম না, সেটা কত রকমে কতবার বুঝিয়ে দিতেন। তিনি প্রায়ই বলতেন, ‘ছাত্রাণাং অধ্যয়নং তপঃ’। এখন তোমরা শুধু পড়বে। পড়া মানে যে কেবল বইয়ের পড়া তা নয়। পড়া মানে জিজ্ঞাস্থ চোখ মেলে পৃথিবীর চারদিক গভীরভাবে দেখা । জান, নিউটন কি করে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি আবিষ্কার করেছিলেন, কি করে গ্যালভানি ইলেক্ট্রসিটি আবিষ্কার করেছিলেন, স্নান করতে করতে আর্কিমেডিস্ হায়ড়োসট্যাটিকসের কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিলেন ? আমাদের চারপাশে এমন অনেক জিনিস ঘটছে যা আমরা দেখছি শুধু সাদা চোখে, তার সেই পর্দা সরিয়ে রহস্ত উদ্‌ঘাটন করতে পাচ্ছি না। বড় হতে হলে চোখ চাই—সব জিনিস বুঝে দেখবার চোথ । আমরা পরম বিস্ময়ে তার কথা শুনতুম। তিনি বলতেন, দেশ তোমাদের কাছে কিছু চায়। তোমরা দেশের কাছে বলিপ্রদত্ত। দেশের মুখ উজ্জল করতে হবে। প্রতিজ্ঞা কর দেশের মুখ উজ্জল করবে। আমরা প্রতিজ্ঞা করলুম। যে মাস্টার মশায়ের বিয়ে করবার আদৌ প্রবৃত্তি ছিল না, আশীৰ্ব্বাদের পর তার মধ্যে