পাতা:বিভূতি রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).djvu/৩৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

cयनैौगौब्र पूजयांग्लौ Vostò নতুন উৎসাহ দেখা দিল । অজস্র পয়সা খরচ করে তিনি বিরাট আয়োজন করতে লাগলেন। সারা গ্রামে মহা ধুমধাম পড়ে গেল । আমাদের স্কুল চারদিনের জন্ত বন্ধ রইল। কলকাতা থেকে গায়ে হলুদের আগের দিন জিনিসপত্র কিনে আনা হল। কনের জন্তে পঁয়তাল্লিশ টাকা দামের একখান বেনারসী শাড়ী এল। বিখ্যাত জুয়েলারের দোকান থেকে গহনা এল । তারপর দূরান্তর কঁাপিয়ে সানাই বেজে উঠতে লাগল। গায়ে হলুদ দেখে সকলে তো অবাক হয়ে গেল। গোধূলি লগ্নে বিয়ে। পাশের গ্রামের হেমস্ত হাজরার মোটর পাঠিয়ে দিয়েছে বর নিয়ে যাওয়া হবে বলে । সারাদিন ধরে ফুল দিয়ে সেই মোটর সাজান হচ্ছে। আমাদের মন আনন্দে ভরে গেছে । আমাদের চণ্ডীমণ্ডপে বসে বসে আমরা তর্ক করছি বরযাত্রী বড় না কনেযাত্রী বড়—এমন সময়ে দেখি স্কুলের সেক্রেটারী মশাই একজন বেঁটেমত কালো ভদ্রলোককে নিয়ে উপস্থিত হলেন তিনি আমায় বললেন, তোর বাবাকে ডেকে দে দিকি । র্তার মুখ অত্যন্ত গম্ভীর এবং চিন্তাযুক্ত। আমি বাবাকে ডেকে দিলুম। সেক্রেটারী বললেন, শুনে যান গোষ্ঠবাবু, এই ভদ্রলোক কি বলছেন। বাবা বললেন, কি কি ! সেক্রেটারী বললেন, এদিকে আম্বন । সতীশবাবুর মুখেই ব্যাপারটা শুনবেন। সতীশবাবু ওরফে সেই কালোমত ভদ্রলোকটির মুখে মৃদু হাসি ফুটে উঠল । বাবা উদ্বিগ্ন হয়ে তাদের কাছে গেলেন। তারা ফিস্ ফিস করে কি সব বললেন। বাবার মুখ শুকিয়ে এতটুকু হয়ে গেল। তখনই কাকাকে ডাকা হল । তিনি তো মাথায় হাত দিয়ে বসলেন। বাড়ীর ভেতর মেয়ের চীৎকার করে কেঁদে উঠল। মুহূর্তের মধ্যে চারদিক নিরানন্দে ভরে গেল—সারা গৃহে বিষন্নতার ছায় । সেক্রেটারী মশায় যাবার সময় বলে গেলেন, একেই বলে কলিকাল । নইলে বলুন, মানুষ মানুষকে বিশ্বাস করতে পারে না? আজকাল মাজৰ চেনা দায় । ইতিমধ্যে পাড়ার এ্যামেচার ড্রামেটিক ক্লাবের মেম্বররা এসে দারুণ হৈ চৈ বাধিয়ে দিল । বলল, শাস্তি চাই । আমরা কি সব মরে গেছি ? গায়ের মধ্যে একজন এসে ষে এই কেলেঙ্কারি করবে তা আমরা কখনই সহ করব না। আজ ওর হাড় গুড়িয়েই ছেড়ে দেবে। সেক্রেটারী ব্যস্ত হয়ে উঠলেন, না না, তোমাদের অত কিছু করতে হবে না ভদ্রলোকের যা অপমান হবার খুবই হয়েছে। গায়ে যদি মানুষের চামড়া থাকে তো বুঝতে পারবে । কালই সমস্ত কাজ বুঝে দূর করে দেব গা থেকে। তোমরা এই গরীব ব্রাহ্মণকে কন্যাদায় থেকে রক্ষা কর । র্তারা সকলে চলে গেলে শুনলুম, হেডমাস্টারকে নিয়েই নাকি এই গণ্ডগোলের সৃষ্টি । তিনি নাকি বিধবার ছেলে। ঐ সতীশবাবু হচ্ছেন তার কাকা। আমার কাক৷ দীর্ষনিঃশ্বাস ফেলে বললেন, এ সব ভাগ্য । তা নইলে আমন সোনার টুকরো ছেলের কিনা এই বিচ্ছিরি ("ম ?