পাতা:বিভূতি রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).djvu/৩৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

cबनैौगैौब्र कूलशाफ़ौ \లిసి(t BBB BBB BBBBBB BB BBB BB S BBBB DD DDS D BBB DDS পাওয়া যায়, পালকি পাওয়া যায় একটু খোজ য়লেই, হরদম লোক ৰাচ্ছে সেখামে, ভয়ভীত কিছু নেই—নদীর খেয়া থেকে বড় জোর ছু-ঘণ্টার রাস্তা। নদীর ধার পর্ধ্যস্ত একখানা ছইওয়ালা গরুর গাড়ীতে আমরা তিন জন এলাম। সারা ট্রেনে মেয়েটি কথা বলে নি, অন্ততঃ আমি শুনি নি। ছইয়ের মধ্যে বসে সে প্রথম কথা কইল । যুদ্ৰকটির দিকে চেয়ে বললে—দাদা, আমার শীত করছে—তোমার শীত করছে না । স্বন্দর গলার স্বর—যেন সেতারে বাস্কার দিয়ে উঠল। আমি সহায়ভূতির চোখে তরুশীয় দিকে চাইলাম, আহ, এমন স্বন্দর মেয়েটি কি অদৃষ্ট নিয়েই জন্মেছে! বললাম—শীত করতে পারে, নদীর হাওয়া বইছে—সঙ্গে কিছু আছে গায়ে দেবার ? যুবকটি বললে—না, গায়ে দেবার কিছু ধরুন এ-বোশেখ মাসে তো আনি নি-বিছানার চাঙ্গরখানা পেতে গাড়ীতে বসে ছিলাম—ওখানা গায়ে দে— মেয়েটি আবার বললে—কি নদী দাদা ? বেশ স্বাভাবিক স্বরে সহজ ধরনের কথাবার্তা । আমিই বললাম—দামোদর। মেয়েটি এবার আমার দিকে মুখ ফিরিয়ে বললে –বল্লভপুরে যে-দামোর ? আমি জানি, খুব বড় নদী-না দাদা ? ছেলেবেলায় দেখেছি— যুবকটি আমায় বললে—দামোদরের ধারে বল্লভপুর বলে গ্রাম, বৰ্দ্ধমান জেলায়, সেখানে আমার মামার বাড়ী কি না ? পূর্ণিমা-মানে আমার এই বোন সেখানে দু-বার গিয়েছিল ছেলেবেলায়--তার পর— খেয়ায় নদী পার হবার সময় পূর্ণিমা ওর দাদাকে বললে—ভয় করছে দাদা-ডুবে যাবে না তো? ও দাদা-নৌকো দুলছে যে— —ডুবে যাবি কেন ? চুপ করে বসে থাক—দুলছে তাই কি ? ওপারে গিয়ে আমরা দেখি গাড়ীঘোড়া তো দূরের কথা, একটা মানুষ পৰ্য্যন্ত নেই। খেয়ার মাঝি লোকটা ভাল, সে আমাদের অবস্থা দেখে বললে—দাড়ান বাবুমশাইরা, শাম্বকুড়ের গোয়ালাপাড়ায় গরুর গাড়ী পাওয়া যায়—আমি ডেকে দিচ্ছি—আপনার নৌকোতেই বস্থান— পূর্ণিমা বললে—দাদা, কিছু খাবে না ? খাবার রয়েছে তো— পরে আমার দিকে চেয়ে বললে—আপনিও খান, খাবার অনেক আছে— ওর দাদা বললে—হঁ্য, হ্যা, দে না, ওঁকে দে—তুইও খাঁ-কিছু তো খাল নি—পোঁছতে কত রাত হয়ে যাবে। পূর্ণিমা একটা ছোট্ট পুটুলি খুলে আমাদের সবাইকে লুচি, পটলতাজা, জালুচচ্চড়ি ও ৰিছিানা পরিবেশন করে দিলে । বললে—দেখ তো দাদা, মিহিদানা খারাপ হয়ে যায় নি ?