পাতা:বিভূতি রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).djvu/৩৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

cबोक्ने झूलदारुँौ לא^*\ দেশের আরও দু-একজন বড় লেখকের নাম করতে কে পারে?” একজন বলিল, “নবীনচন্দ্র”, একজন বলিল, “স্বরেন ভট চাজ” (তখনকার কালে মভ নাম), একজন বলিল, রজনী সেন” (তখন সবে উঠিতেছেন)—আমি একটু বেশী জানিবার বাহবা লইবার জন্ত বলিলাম—“ভূষণচন্দ্র চক্রবর্তী।” মাস্টারমশায় বলিলেন, “কে ?” “ভূষণচন্দ্র চক্রবর্তী। আমি পড়েছি তার সব বই, আমার সঙ্গে আলাপ আছে।”

  • সে আবার কে ?”

আমি মাস্টারমশায়ের অজ্ঞতা দেখিয়া অবাক হইলাম । “কেন, ভূষণচন্দ্র চক্রবর্তী খুব বড় লেখক-প্রেমের তুফান, কমলকুমারী, দেওয়ালী, রেণুর বিয়ে—এই সব বইয়ের—” মাস্টারমশায় হো হো করিয়া উঠিলেন, ক্লাসের ছেলেদের বেশীর ভাগই না বুঝিয়া সে হাসিতে যোগ দিল । উহাদের সম্মিলিত হাসির শবো ক্লাসকম ফাটিয়া পড়িবার উপক্রম হুইল । আমার কান গরম হইয়া উঠিল, রীতিমত অপদস্থ বিবেচনা করিলাম নিজেকে। কেন ? ভূষণদাদা বড় লেখক নন ? বা রে! মাস্টারমশায় বলিলেন, “তোমার গায়ের আত্মীয় বলে আর তোমার সঙ্গে আলাপ আছে বলেই তিনি বড় লেখক হবেন তার কি মানে আছে ? কে তার নাম জানে ? ও রকম বলো না ।” ভূষণদাদার সাহিত্যিক ঘশ ও খ্যাতি সম্বন্ধে আমি এ পর্ব্যস্ত কেবল একতরফা বর্ণনাই শুনিয়া আসিয়াছি বিমুর মায়ের মুখে, বিম্বর মুখে, বিস্তুর বাবার মুখে, ভূষণদাদার নিজের মুখে । তাহাই বিশ্বাস করিয়াছিলাম, সরল বালক মনে । এই প্রথম আমার তাহার উপর সন্দেহের ছায়াপাত হইল । এতদিন গায়ে থাকিয়া কেবল স্বগন্ধি তেলের বিজ্ঞাপনের নভেলই পড়িয়াছি—ক্রমে স্কুল লাইব্রেরী হইতে বঙ্কিমচন্দ্রের ও আরও অন্যান্ত বড় লেখকের বই লইয়া পড়িতে আরম্ভ করিলাম। বয়স বাড়িবার সঙ্গে সঙ্গে ভাল মন্দ বুঝিবার ক্ষমতাও জন্মিল—ফলে বছর চার-পাঁচ স্থলে পড়িবার পরে আমার উপরে ভূষণচন্দ্র চক্রবর্তীর প্রভাব যে অত্যন্ত ফিকে হইয়া দাড়াইবে, ইহা অত্যন্ত স্বাভাবিক ব্যাপার। আমি যেবার ম্যাট্রিক পাশ করিয়া কলেজে ভৰ্ত্তি হইয়াছি, লেবার প্রাবণ মাসে বিমুর ভীর বিবাহ উপলক্ষে ভূষণদাদা আবার আমাদের গ্রামে আসিলেন। তখন আমার চোখে তিনি আর ছেলেবেলার সে বড় লেখক ভূষণচন্দ্র নন, ৰিন্থর ভূষণা, স্বতরাং আমারও ভূষণদাদা। তখন বেশ সমানে সমানে কথাবার্তা বলিলাম, দাদাও আর সে মুরুলিয়ানা চাল নাই, থাকিবার কথাও নয় । তিনিও সমানে সমানেই মিশিলেন। একখান ৰই দেখিলাম, বিবাহ-বাটির কুটুম্বসাক্ষাৎজের হাতে ঘুরিতেছে, কবিতার বই,