পাতা:বিভূতি রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).djvu/৪২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেণীগীর ফুলবাড়ী 8S S হৃষীকেশ বাড়বো বল্পেন—জিগ্যেস করে দেখুন আপনার ছেলেকে ? ওই তো দাড়িয়ে রয়েছে সামনে । বিয়ের আগে পাত্র আশীৰ্ব্বাদের দিন একথা বলেছিল কিনা ! আমি মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলাম আপনাদের দেখে । আমি তো পাচুকে দেখে দিই নি । ভাবলাম আপনাদের আত্মীয়, আপনাদের বিষয়ের অংশীদার—তাই আমি সম্বন্ধ করি । তখন কি করে জানব এর মধ্যে এত জুয়োচুরি । আমি বল্লাম—এ কথা আপনি নিতান্ত ছেলেমানুষের মত বলছেন । যদি কেউ বলে মণীন্দ্র নদীর জমিদারীতে আমার অংশ আছে—অমনি তার অংশ হয়ে যাবে ? ঠাকুরমা আমায় আবার ধমক দিযে চুপ করালেন । হৃষীকেশ বাড়ুৰ্য্যেকে স্বান করতে পাঠালেন, তারপর থাষ্টয়ে-দাইয়ে তাকে সুস্থ করলেন । যাবার সময়ে হৃষীকেশ বাড়ুধ্যে ঠাকুরমায়ের হাতে ধরে বল্লেন—আমার মেয়েকে আপনি রেখে দিন । আমার সংসারে একপাল পুস্থিা, খেতে দিতে পারি নে। আপনাদের হাত ঝাডলে পৰ্ব্বত, আমার মেয়েকে একবেলা একমুঠা আলোচলেৰ ভাত— মা ও ঠাকুরমা বল্পেন—তার আর কি, বৌমা থাকুন এইখানেই। পাচুর বোঁ আমাদের তো আর পর নয়, কপালই না হয় পুড়েছে সকাল সকাল । সেই থেকে পাচুমামার স্ত্রী আমাদের সংসারে রয়ে গেলেন । প্রথমে ছিলেন বেশ স্বখেই, যতদিন মা ঠাকুরমা বেঁচেছিলেন । তারপর তারা একে একে গেলেন স্বর্গে। দাদার বিয়ে আগেই হয়েছিল, আমারও বিয়ে হলো। হৃষীকেশ বাড়ুষ্যেও ওদিকে মারা গেলেন। পাচুমামার স্ত্রীর ও আর বাপের বাডী যাবার জায়গা রইল না । নতুন বৌয়ের দল নিজের স্ববিধামত সংসার সাজিয়ে নিয়েছিল। পাচুমামার স্ত্রীর এBB BSB BBBS BBS BBS BBB BBBBSBBB BBB BBSBBS BBBB BBB BB থেকে চুন খসলেই পাচুমামার স্ত্রীকে অপমান করা শুরু করলে। এর আর একটা কারণ fছল । পাচুমামার স্ত্রী ছিলেন অসামান্ত রূপবতী বিধবা মানুষ, একবেল খেতেন, একথান নরুন পাড় কাপড় পরতেন—তাতেই তার রূপ ধরতে না । বয়সের সঙ্গে সে রূপ স্থান হওয়া তো দূরের কথা, দিন দিন বাডতেই লাগল। নতুন বৌয়েরা দেখতে অমন স্বন্দরী নয় কেউ-ই । তাদের মনে পাচুমামার স্ত্রীকে কেন্দ্র করে নানা হিংসে, ঘোর সন্দেহ এসে জুটতে লাগল। পাচুমামার স্ত্রী তো এ বাড়ীতে থাকতেন বিনি মাইনের রাধুনী ঝি চাকরাণীর মত। কিন্তু র্তার ওপর অত্যাচার অবিচার তাতেও কম ছিল না । আমার সত্যিই কষ্ট হতো পাচুমামার স্ত্রীর জন্যে। যে সহাঙ্গভূতি পাঁচুমামার ওপর কখনও হয় নি, পাচুমামার শ্বশুরের ওপর হয় নি—তা হয়েছিল এই অসহায় বিধবা নারীর ওপর। কিন্তু আমার কথা কওয়ার কোন উপায় ছিল না। তা হলেই আমার স্ত্রী সন্দেহ করবেন, কেন আমি পাচুমামার স্ত্রীর পক্ষে এত কথা বলছি। আমার পূৰ্ব্বেকার রেকর্ড খুব ভাল हिल না, স্বতরাং স্ত্রী পদে পদে আমায় সন্দেহ করতেন, আমিও যে না বুঝতাম এমন নয়। স্বতরাং