পাতা:বিভূতি রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).djvu/৪২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেশীগীর ফুলবাড়ী ՅՏ8 BDD DBB BB BBB BD DDDDD DDD BBB BBB S BBBBB BBBB হবে যে ! মনে মনে ভাবলাম—সেইটেই বোঝ । আর একটা গরীব অসহায়া মেয়ের ষে কি হবে তা মনেও ওঠে না । তোমাদের ভালো করেই কল্যাণ করাচ্ছি। পাচুমামার বোঁ কথাটি বলেন না। নিজের পুটলি গুছিয়ে নিয়ে যাবার জন্তে প্রস্তুত হলেন। আমি জানি তার কোথাও যাবার জায়গা নেই—বাপের বাড়ী এক গাজাখোর বেকার ছোট ভাই আছে, সেখানে একমুঠো খাওয়াও জুটবে না এক বেলা। কিন্তু সব জেনেও বড় রূঢ় ও কঠিন হয়ে উঠলাম আজ । একাদশীর পরদিন না খেতে দিয়েই তাড়াবো । করাচ্ছি সংসারের কল্যাণ তোমাদের ! সেই সকালেই চ খেয়ে বসে আছি, পাচুমামার বোঁ দুটি পান সেজে ডিসের বাটিতে আমার সামনে রেখে দিয়ে পুটলি বগলে করে বাড়ী থেকে বেরিয়ে গেলেন। আমি মুখে কিছু বলিনি, কেবল স্টেশন পর্য্যস্ত সঙ্গে যাবার জন্তে আমাদের মুহুরী বৃদ্ধ গোপাল মিত্রকে পাঠিয়ে দিলাম এবং আপদ চুকে গেল ভেবে আরামের নিঃশ্বাস ফেললাম। পাচুমামার বৌয়ের তারপর থেকে আর কোন খবর রাখি নি । শান্তিরাম সন্ধ্যার কিছু আগে একখানা ট্রেন ছাড়ে। রাত সাড়ে নটা আন্দাজ সেখান দেশের স্টেশনে পৌছায়। শাস্তিরাম ওই ট্রেনেই বাড়ী যাওয়া ঠিক করিল। কলে জল আসিয়াছে। ঝরঝর শব্দে চৌবাচ্চায় পড়িতেছে। চৌবাচ্চাট মাঝারি, ক্রমশঃ পুরিয়া আসিল বলিয়। ভাদ্র মাসের পচা শুমোট, স্নান করিয়া লওয়া ভাল। কাপড় ভিজাইয়া দরকার নাই—গামছা পরিয়া শাস্তিরাম অনেকক্ষণ ধরিয়া স্নান করিল। এখনও ঝাড়ুদার আসে নাই। এবেল-ওবেলার উচ্ছিষ্ট ভাত, শাকের চিবানো ডাটা, মাছের কাটা বাঝরি ড্রেণের মুখে পড়িয়া জলের শ্ৰোত আটকাইয়াছে, দেখিলে গা কেমন করে—কি নোংরা 1•••কিন্তু এই নোংরা, আঁস্তাকুড়ের মধ্যে আজ সাতটি মাস বাস করিয়াও পয়স হুইল কৈ ? সে সর্ব সহ করিতে পারিত যদি হোটেলটা হইতে কিছু পয়সা আসিত । ভূপেনবাবু আপিস হইতে ফিরিয়া রান্নাঘরের পাশের ছোট ঘরের চাৰি খুলিল। ঘরটার সামনে চালের বস্তা, ডালের বস্ত, বেগুন পটলের ধাম, শুকনা বিলাতি কুমড়া। আধ নাগরী আখের গুড়—একটা ছোট্ট আড়াইসেরা টিনের অর্ধেক ভক্তি সরিষার তৈল। বাজে হোটেলের মত যা তা তেল এখানে ব্যবহার করা হয় না, রামগোপাল মিলের মোহন-মার্কা খাটি সরিষার তৈল। কিন্তু এতেও হোটেল চলিল না। ভূপেনবাৰু কলতলায় হাত পা ধুইতে আসিল। কাধে গামছা, পারে খড়ম। চটির নাম