পাতা:বিভূতি রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).djvu/৪৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেণীগীর ফুলবাড়ী . s هاد দূরের কথা, তোমাদের খেতে দেবে যে কোথেকে তাই ভেবে— তৰুও আজ জাট মাস পরে বাড়ী আলিয়া তাহার কি ভালই লাগিতেছিল। কলিকাতায় হোটেল খুলিয়া থাকা—সে এক অন্ত ধরনের জীবন। এই কয় মাসে সে তাহা ভাল করিয়াই বুঝিয়াছে। কখনো ষে ঘরছাড়া হয় নাই তাহার পক্ষে এক ওভাবে নিৰ্ব্বান্ধব স্থানে থাকা কি ভাল লাগে ? এ তাহার নিজের বাড়ী—সকলে এখানে আপন। এখানে নীরদ আছে, সতু, বুলু, খুকী, পিসিমা । পাশের বাড়ীতে দুর্গাদাপ কামার, নিতাই কামার,—এর সব তাহার আপন । নিতাই তাহার ছেলেবেলার বন্ধু, লেখাপড়া শেখে নাই—পৈতৃক বৃত্তি দা-বাধানে, লাঙলের ফাল-পোড়ানো অবলম্বন করিয়াছে । তাছাকে সে যে কত দিন দেখে নাই ! নিতাই কামারের দোকানঘরের জামরুলতলার ছায়ায় বসিয়া তামাক খাইতে খাইতে নিতাই এবং কামারদোকানের সমাগত লোকজনের সঙ্গে বেগুন কুমড়ার গল্প করিতে কি স্বখ ! তার তুলনায় হোটেল । কাল নিতাইয়ের সঙ্গে সকালেই দেখা করিতে হইবে। শাস্তিরাম থাইতে বসিল । —হঁ্যা গা, পূজে পৰ্য্যস্ত থাকৰে তো ? -ईT1 ! —তা কাপড়জামা ওদের কলকাতা থেকে আনলে না কেন ? এখানে দর বেশী । --झब्र ? ईT, ७ ८द*ौ । —হোটেল দেখাশোনা করবে কে এখন ? শান্তিরাম কিছুক্ষণ চুপ করিয়া থাকিয়া বলিল—হোটেল নেই। নীরদ বিস্ময়ের স্বরে বলিল—নেই ! তবে অন্ত কি—কেন, এই সেদিনও তো চিঠি লিখলে হোটেলের কাজ চলছে ভাল । শান্তিরাম বলিল—চলছিল তো ভালই । তারপর কিসে থেকে কি হলো, কেবল জেনা বাধতে লাগলো। বিক্রি হয়ে গেল দেনার দায়ে । —সে বালী-জোড়াটা আছে তো ! এনেছ সঙ্গে তো ? নীরদ এই ধরনের প্রশ্ন করিয়া বড় বিপদে ফেলে। এই ধরনের প্রশ্ন না করিয়া ৰঞ্জি বলিত—“সে বালা ছগাছাও ঘুচিয়ে দিয়েছ তো " তাহা হইলে উত্তর দেওয়াটা সহজ হইত ষে বালা ঘুচিয়া গিয়াছে। মিটিয়া গেল। এতখানি আশা-ভরা প্রশ্নের উত্তরে তাহাকে ७¥न না, সংসার করা এত বিপদ জানিলে সে বিবাহ কfরত না । বিবাহ সে ইচ্ছা করিয়া করেও নাই | স্বৰ্গীয় পিতৃ-দব বঁচিয়া থাকিতে পুত্রবধুর মুখ দেখিবার স্থনিবার আকাঙ্ক্ষায় উনিশ বছরের ছেলে শাভিরামের বিবাহ দিয়া বান বারো বছর বয়সের নীরদার সঙ্গে । —ইয়ে, বালা কোথায় নীরদ বালা বিক্ৰী করেই তো হোটেল খুলেছিলাম। নীরদ হঠাৎ নিজের গালে চড় মারিতে মারিতে বলিতে লাগিল—ওম আমার কি হবে, ওম। আমার কি হবে— w