পাতা:বিভূতি রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).djvu/৪৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8々や বিভূতি-রচনাবলী ছাড়ছি নে, গায়ে আর লোক নেই। আর আমাদের যাওয়ার আগে আপনার মাসের টাকা দিয়ে স্বাৰো—কেন না, পূজো আসছে, খরচপত্র আছে তো ? পুকুর-কাটার দক্ষনও আপাততঃ একশো টাকা আপনার হাতে দিয়ে যেতে চাই—আপনাকে সকলে গায়ে বলে হোটেলওয়াল বামুন, কিন্তু দেখছি আপনিই খাটি লোক । ■ শাস্তিরামের মাথা ঘুরিয়া গেল। . ছোকরা আরও সব ষে কি বলিয় গেল শাস্তিরামের মাথার মধ্যে কিছু চুকিল না। স্বশান্ত চলিয়া গেলে তাড়াতাড়ি বাডীর ভিতর গিয়া স্ত্র"কে ডাকিয়া বলিল--ওগো কোথায় গেলে, শুনছো—শোন শোন— নীরদ সব শুনিয়া হাসিমুখে বলিল—স্ত্রীবুদ্ধি বলছিলে ধে । আমার বুদ্ধি নিয়ে চলে একটু। ফিরিওয়ালা অনেক দিন আগে বাল্যজীবনে যখন কলকাতায় এসে কলেজে পড়াশুনা আরম্ভ করি, তখন হ্যারিসন রোডের একটা ছাত্রদের মেসে থাকতাম । একজন ফিরিওয়ালা সে-সময় প্রত্যহ আমাদের মেসে আসত, তার মাথায় একটা চেপটা গড়নের হাড়ি—তাতে থাকত ক্ষীরমোহন ও রসগোল্প। লোকটা সত্যিই ভারি চমৎকার ক্ষীরমোহন তৈরি করতে পারত—এবং তার চেয়েও বড় গুণ ছিল লোকটার, –সে ধারে খাবার দিয়ে ধেত মেসের ছেলেদের । মেসে জিনিসপত্র যার বিক্রি করে, ধার না দিলে তাদের ব্যবসাই চলে না—একথা তাদের চেয়ে ভালভাবে কেউ বুঝত না। ধারও যেমন তেমন ধার নয়, মেসের ছেলেরা নিবিবৰাজে দিনের পর দিন খেয়ে চলেছে, মাস শেষ হলে দেখা গেল, ফিরিওয়ালার ক্ষীরমোহনের দেন। দাড়িয়েছে এক-একজনের কাছে দশ টাকা, পনেরে টাকা । মজা হচ্ছে এই যে, টাকা শোধ না হলেও এসব ক্ষেত্রে ধার দিয়েই যেতে হবে—কারণ খাবার খাইয়ে না যেতে পারলে টাক; : কখনই আদায় হবে না। ক্ষীরমোহনওয়ালার মুখে বিনয়ের হাসি সৰ্ব্বদাই লেগে থাকত, আমি কখনো তার হাসিমুখ ছাড়া দেখিনি অন্তত: । ও এলেই বড় ভাল লাগত—ওর মুখের মজার মজার হাসির গল্প BBB S BBB S BBBBS BB BBB BBB BB B BBB BBB BBB BBBB সবাই মিলে । লোকটার চেহারা ছিল ভাল। বেশ দোহারা গঠনের, রং একটু ফর্গা, বড় বড় গোপ জোড় দেখলেই আমাদের খুব হালি পেত, তার ওপরে ওর মূখে ওর দেশের নানান রকম মজার গল্প শুনতে গিয়ে হাসতে হাসতে আমাদের পেটে খিল ধরবার উপক্রম হত । ঘড়ির কাটার মত লোকটা আসত আমাদের মেসে ।