পাতা:বিভূতি রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).djvu/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আদর্শ হিন্দুহোটেল ›ፃ গরম মাংস একটু খেয়েই ধাই। মজুরী কেন দেবো না চকত্তি মশায় ? ও আমাদের রায় করুক, আমরা ওকে খুশি ক’রে দিয়ে যাবো। ওর জন্তেই তো এখানে আসা । কথা শুনিয়া হাজারি অত্যন্ত খুশি হইয়া উঠিল, আরও সে খুশি হইল এই ভাবিয়া যে, চকত্তি মশায়ের কানে কথাগুলি গেল—তাহার চাকুরির উন্নতি হইতে পারে। মনিবের স্বনজরে পড়িলে কি না সম্ভব ? খুশির চোটে ইহা সে লক্ষ্যই করিল না যে, পদ্ম ঝি তাহার প্রশংসা শুনিয় এদিকে হিংসায় নীলবর্ণ হইয়া উঠিয়াছে। বাবুরা হোটেলের উপর নির্ভর করিল না—তাহারা জিনিসপত্র নিজেরাই কিনিয়া আনিল । হাজারি ঠাকুর মাংস রাধিবার একটি বিশেষ প্রণালী জানে, মাংসে একটুকু জল না দিয়া নেপালী ধরনের মাংস রান্নার কায়দা সে তাহাদের গ্রামের নেপাল-ফেরত ডাক্তার শিবচরণ গাজুলীর স্ত্রীর নিকট অনেকদিন আগে শিখিয়াছিল। কিন্তু হোটেলে দৈনন্দিন খান্ততালিকার মধ্যে মাংস কোনদিনই থাকে না—তবে বাধ। খরিদাষ্ট্রগণের মনস্তষ্টির জন্ত মাসে একবার বা দুবার মাংস দেওয়ার ব্যবস্থা আছে বটে—সে রান্নার মধ্যে বিশেষ কৌশল দেখাইতে গেলে চলে না, বা হাজারির ইচ্ছাও করে না—যেমন ভাল শ্রোতা না পাইলে গায়কের ভাল গান করিতে ইচ্ছা করে না—তেমনি । হাজারি ঠিক করিল, পদ্ম ঝি তাহাকে দুই চক্ষু পাড়িয়া যেমন দেখিতে পারে ন!—তেমনি আজ মাংস রাধিয়া সকলের বাহবা লইয়া পদ্ম ঝির চোখে আঙুল দিয়া দেখাইয়া দিৰে, তাহাকে যত ছোট মনে করে ও, তত ছোট সে নয় । সেও মাস্থ্য, সে অনেক বড় মান্থৰ । ভাল যোগাড় না দিলে ভাল রান্না হয় না । পদ্ম ঝি যোগাড় দিবে না এ জানা কথা । হোটেলের অন্য উড়ে বামুনটিকে বলিতে পারা ধায় না—কারণ সে-ই হোটেলের সাধারণ রান্না রণধিবে । একবার ভাবিল—কুস্বমকে আনবো ? পরক্ষণেই স্থির করিল, তার দরকার নাই । লোকে কে কি বলিবে, পল্প ঝি তো বঁটি পাতিয়া কুটিবে কুস্কমকে। যাক, নিজেই বাহা হয় করিয়া লইবে এখন। বেলা হইয়াছে। হাজারি বাজার হইতে কেনা তরি-তরকারী, মাংস নিজেই কুটিয়া বাছিয়া লইয়া রান্না চাপাইয়া দিল । বর্ষাও যেন নামিয়াছে হিমালয় পাহাড় ভাঙিয়া। কাঠগুলা ভিজিয়া গিয়াছে—মাংস সে কয়লার জালে রাধিবে না। তাহার সে বিশেষ প্রণালীর মাংস রান্না কয়লার জালে হইবে না। সব রান্না শেষ হইতে বেলা দুইটা রাজিয়া গেল । তারপরে খরিদার বাবুরা খাইভে বসিল । মাংস পরিবেশন করিবার অনেক পূর্বেই ওস্তাদ শিল্পীর গর্ব ও আত্ম-প্রত্যয়ের সহিত হাজারি বুঝিয়াছে, আজ যে ধরনের মাংস রান্না হইয়াছে—ইহাদের ভাল না লাগিয়া উপায় নাই। হইলও তাই ৮ বাবুরা বেচু চকত্তিকে ডাকাইলেন, হাজারি ঠাকুরের সম্বন্ধে এমন সব কথা বলিলেন 'ষে বেচু চৰুত্তিও যেন অস্বস্তি বোধ করিতে লাগিল সে কথা শুনিয়া। চাকরকে ছোট دسمه . ة مةf