পাতা:বিভূতি রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).djvu/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮ বিভূতি-রচনাবলী করিয়া রাখিয়া মনিবের স্ববিধা আছে, তাহাকে বড় করিলেই সে পাইয়া বসিৰে । যাইবার সময় একজন বাৰু হাজারিকে আড়ালে ভাকিয়া বলিলেন—তুমি এখানে কত পাও ঠাকুর ? —সাত টাকা আর খাওয়া-পরা। —এই দুটো টাকা তোমাকে আমরা বক্শিশ দিলাম-চমৎকার রান্না তোমার। যখন আবার এদিকে আসবে, তুমি আমাদের রোধে খাইও । হাজারি ভারি খুশি হইল। বকৃশিশ ইহারা হয়তো কিছু দিবেন সে আশা করিয়াছিল বটে, কিন্তু ছু-টাকা দিবেন তা সে ভাবে নাই। খাইবার সময় বেচু চকত্তির সামনে বাবুর হাজারির রান্নার আর এক দফা প্রশংসা করিয়া গেলেন। আর একবার শীঘ্রই শিকারে আসিবেন এদিকে । তখন এখানে আসিয়া হাজাঞ্জি ঠাকুরের হাতের মাংস মা খাইলে তাহাঙ্গের চলিবেই না। বেশ হোটেল করেছেন চকত্তি মশায় । বেচু চকত্তি বিনীত ভাবে কাচুমাচু হইয়া বলিল-আজ্ঞে বাৰু মশায়ের রাজসই লোক, সব দেখতে পাচ্ছেন, সব বুঝতে পাচ্ছেন। এই রাণাঘাট রেল-বাজারে হোটেল আছে অনেকগুলো, কিন্তু আপনাদের মত লোক যখনই আসেন, সকলেই দয়া ক’রে এই গরীবের কুঁড়েতেই পায়ের ধুলো দিয়ে থাকেন। তা আসবেন, যখন আপনাদের ইচ্ছা হয়, আগে থেকে একখানা চিঠি দেবেন, সব মজুদ থাকবে আপনাদের জন্তে ; বলবেন কলকাতায় ফিরে দু’চারজন আলাপী লোককে—যাতে এদিকে এলে তারাও এখানেই এসে ওঠেন। বাৰু-তা আমার বামুনের মজুরীটা ?•••হেঁ-হেঁ— —কত মজুরী দেবো ? —ত দিন বাৰু একবেলার মজুরী আট আনা দিন । বাবুৱা আরও আট জানা পয়সা বেচুর হাতে দিয়া চলিয়া গেলেন। বেচু হাজারী ঠাকুরকে ডাকিয়া বলিল—ঠাকুর আজ আর বেরিও না কোথাও । ৰেলা গিয়েচে। উন্থনে আঁচ আর একটু পরেই দিতে হবে। পদ্ম কোথায় ? –পদ্মদিদি খাল বাসন বার করচে, ডেকে দেবো ? পদ্ম কি আজ ষে মুখ ভার করিয়া আছে, হাজারি তাহা বুঝিয়াছিল। আজ হোটেলে সকলের সামনে তাহার প্রশংসা করিয়া গিয়াছে বাবুরা, আজ আর কি তাহার মনে স্থখ আছে । BB BB BDD BBBB DD BBB BBB DDD DDBB BB BBBS BB BBBB এবং মাংস দিয়াছিল। পদ্ম ঝি কিছুমাত্র প্রসন্ন হইয়াছে বলিয়া মনে হইল না, মুখ ৰেমন তার তেমনিই রহিল। ভাতের খাল উঠাইয়া লইয়া পদ্ম ঝি হঠাৎ প্রশ্ন করিল—রাখা মাংস আর কতটা আছে ঠাকুর ? ৰলিয়াই ভেকুচির দিকে চাহিল। এমন চমৎকার মাংস কুন্বমের বাড়ী কিছু দিয়া