পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/১০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনুবর্তন —কে, অনিলা ? অনিলাকে ফ্রক পড়ে বেড়াতে দেখেছি। আমাদের বাসায় আমার ভায়ী বিমলার সঙ্গে খুব আলাপ। —বেশ মেয়ে। দেখতে তো ভালই, ঘরের কাজকৰ্ম্ম সব জানে। চলুন না, পায়ে পায়ে মুখুঙ্গের বাসায় বাই। আপনি এসেছেন, বোধ হয় জানে না। ক্ষেত্রবাৰু জিভ কাটিয়া বলিলেন, আরে, তা কখনও হয় ? না না। আমি যাব কেন ? —আমরা যে ক'জন আছি স্টেশনের কোয়াটারে—সব এক ফ্যামিলির মত। এখানে কুটুম্বিতে করি না কেউ কারও সঙ্গে। সেবারে ঐ মল্লিকবাবুর মা মারা গেল, আটাত্তর বছর বয়সে। রাত দেড়ট, আমি এইটিন ডাউন সবে পাস করে টিকিটের হিসেব চালানে এনট্র করেছি, এমন সময় বাসা থেকে লোক গিয়ে বললে—শীগগির চল, এই রকম ব্যাপার। সেই রাত্তিরে মশাই রেলওয়ে কোয়ার্টারের ক'টি প্রাণী, বলি ব্রাহ্মণ আর কায়স্থ কী, হিন্দু তো বটে—ম্বাড়ে করে নিয়ে গেলুম শশানে ; তা এখানে ওসব নেই। চলুন, যাওয়া যাক। ক্ষেত্রবাবুর যাওয়ার ইচ্ছা যে না হইয়াছিল তাহ নয়, কিন্তু দাদা কী মনে করিবেন, এই ভয়ে মজুমদারের কথায় রাজী হইতে পারিলেন না ! পরদিন বেলা দশটার সময় ক্ষেত্রবাৰু বাসায় বসিয়া খবরের কাগজ পড়িতেছিলেন, এমন সময় একটি মেয়ে এক বাটি তেল আনিয়া সামনে রাখিয়া সলজ স্বরে বলিল, দিদি বললেন আপনাকে নেয়ে আসতে ৷ ক্ষেত্রবাবু চাহিয়া দেখিলেন, সতেরো-আঠারো বছরের মেয়েটি। বেশী ফয়সাও নয়, বেশী কালোও না। মুখত্র ভাল । -ও ! বউদিদি বললেন ? ক্ষেত্রবাবু যেন একটু থতমত খাইয়া গিয়াছেন, কথার স্বরে ধরা পড়িল । মেয়েটি হাসি চাপিতে চাপিতে বলিল, হ্যা।—এই কথা বলিয়াই সে চলিয়া গেল। ক্ষেত্রবাৰু ভাবিলেন, কে মেয়েটি, কখনও 'তো দেখেন নাই একে ! এ সেই মেয়েটি নয় তো ? - স্বান করিয়া খাইতে বসিয়াছেন, সেই মেয়েটিই আসিয়া ভাতের থালা সামনে রাখিল । আবার ফিরিয়া গিয়া ডালের বাটি আনিয়া দিল। খাওয়ার মধ্যে মেয়েটি অনেক বার যাতায়াত কৰিল। ক্ষেত্রবাৰু দুই-একবার মেয়েটির মুখের দিকে চাঁহিয়া দেখিলেন, মুখখানি ভাল ছাড়া মন বলিয়া মনে হইল না উাহার কাছে। ভাল করিয়া চাহিতে পারিলেন না, দাদা পাশে বলিয়া থাইতেছেন। আহারাদির পর ক্ষেত্রবাবু বিশ্রাম করিতেছেন, সেই মেয়েটিই আসিয়া भान निग्रा ८अल । ८कञ्चदाबूझ ८कोछूश्ल इहेज खांनिवग्नि छछ cभप्प्र ि८क, किस कथनe অপরিচিত মেয়ের সঙ্গে কথা কওয়ার বা মেলামেশার অভিজ্ঞতা না থাকায় চুপ করিয়া রছিলেন। গরীব স্কুলমাস্টার, তেমন সমাজে কখনও যাতায়াত নাই।