পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/১১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিভূতি-রচনাবলী জানেন না বোধ হয় ? সকলেই চমকিয় উঠলেন। যদুবাৰু ও জগদীশ জ্যোতিৰ্ব্বিনোদ একসঙ্গে বলিয়া উঠিলেন, কে বললে ? অ্যা, আবার মাইনে কাট। ৷ —জানুয়ারি মাসে ছাত্র ভত্তি না হলে মাইনে কাটা হবেই। –এই সামান্য মাইনে, এও কাটা হবে। আপনি একটু বলুন হেডমাস্টারকে— —বলেছিলাম। কিন্তু বাজেট যা, তাতে মাইনে না কাটলে মাস্টারদের মধ্যে দু-একজনকে জবাব দিতে হবে কাজ থেকে। তার চেয়ে সকলকে রেখে মাইনে কাটা ভাল । জ্যোতিবিনোদ বলিলেন, সে যাকগে, যা হয় হবে। এখন সাহেবের কাছে একটা দরখাস্ত দেওয়া যাক আশ্নন, যাতে মাসের মাইনেট। ঠিক সময় পাই । আড়াই মাস খেটে এক মাসের মাইনে নিয়ে এভাবে তে। আর পারা যাচ্ছে না। রামেন্দুবাৰু বলিলেন, ও করতে যাবেন না। তাতে ফল হবে না। আমি কি ও নিয়ে বলি নি ভাবচেন ? - যদুবাৰু বলিলেন, না, আপনি যা বলেন, তার ওপর আমাদের কথা কওয়ার দরকার कौ ! या छांज श्ग्र कब्रप्तन । চায়ের দোকান হইতে বাহির হইয়া কে একজন বলিলেন, আজ যে নারাণদাকে দেখছি নে ? জ্যোতিৰ্ব্বিনোদ বলিলেন, যখন আসি, ঘরে উকি মেরে দেখি, তিনি লিখছেন বসে বসে একমনে। আমি আর ডাকলাম না । রামেন্দুবাবু বলিলেন, ওই একজন বড় খাটি সিনশিয়ার লোক, সেকালের গুরুর মত। ও টাইপ আজকালবড় একটা দেখা যায় না এব্যবসাদারির যুগে। আচ্ছা,আমি এখন চলি –বস্থন। বসিবার সময় নাই কাহারও। সকলকেই এখনই টুইশানিতে যাইতে হইবে। ক্ষেত্রবাবু চায়ের দোকান হইতে পাশেই শ্ৰীনাথ পালিতের লেনে বাসায় গেলেন। পনেরো টাকা ভাড়ায় দুইখানি ঘর একতুলায়, ছোট রান্নাঘর। এক দিকে সিড়ির নিচে কয়লা রাখিবার জায়গা। অন্ধকার কলঘরে একজন লোক দিনমানে ঢুকিলেও বাহির হইতে হঠাৎ দেখিবার জো নাই। তারের আলনায় কাপড় শুকাইতেছে। বাড়ীওয়ালী শুচিবেরে বুড়ী গামছা পরিয়া বাট হাতে উঠানে জল দিয়া বাট দিতেছে ও ধুইতেছে। অনিলা বাহিরে আসিয়া হাসিমুখে বলিল, দেরি হল ? —কোথায় দেরি ? কাহ্ল কই ? —সে বল খেলা দেখতে গিয়েচে, ইণ্টার-স্কুল ম্যাচ আছে কোথায়। চা খাবে ? —না, এই খেয়ে এলাম দোকান থেকে। অনিল হাত-পা ধুইবার জল আনিয়া একটা ছোট টুল পাতিয়া দিল, একখানা গামছা টুলের উপর রাখিল । তারপর একটা বাটিতে মুড়ি মাখিয়া এক পাশে একটু গুড় দিয়া