পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিভূতি-রচনাবলী -दिख ७ ८७1 एल, ७ छूटलद्र वदश लिम मिन श्रग्न ऍप्लांज कौ ? —কে জানে কেমন ! সাহেবের অত কড়াকড়ি, অমন পড়ানোর মেথড,–কিছুতেই কিছু হচ্ছে না ! যন্ধুবাবু বলিলেন, তা নয়, কী হয়েছে জান ? পাশের স্কুলগুলো ছেলে ভাঙিয়ে নেয়, ওয়া বাড়ী বাড়ী গিয়ে ছেলে যোগাড় করে। হেডমাস্টার মাস্টারদের সঙ্গে নিয়ে বাড়ী বাড়ী যায়। —আমাদেরও যেতে হবে। - —হেডমাস্টার যে রাজী নন। ওতে মাস্টারদের প্রেস্ট্রিজ থাকে না, ওসব ব্যবসাদারি ক'রে স্কুল রাখার চেয়ে না রাখা ভাল—এ সব বিলিতী মত এখানে খাটবে না। আমি জানি, লালবাজারে একটা স্কুল থেকে ছেলে ট্রান্সফার নেবে বুলে দরখাস্ত দিল-হেডমাস্টার ছজন টীচার নিয়ে তাদের বাড়ী গিয়ে পড়ল, গার্জেনকে বোঝালে—কেন ট্রান্সফার নেবেন, কী অস্থবিধে হচ্ছে বলুন-কত খোশামোদ ! কিছুতেই ছেলেকে নিতে দিলে না। ক্ষেত্রবাবু বলিলেন, আমাদের স্কুলে যেমন ট্রান্সফারের দরখাস্ত পড়েছে, আর সাহেব অমনি তখনই ক্লার্ককে ডেকে বলবে—কত বাকি আছে দেখ, দেখে ট্রান্সফার দিয়ে দাও। —এ রকম ক’রে কি কলকাতার স্কুল চলে ? সাহেবকে বোঝালেও বুঝবে না। —প্রেষ্টিজ যাবে । প্রেষ্ট্রিজ ধুয়ে জল খাই এখন। পরদিন স্কুলে মিঃ আলম টীচারদের লইয়া এক গুপ্ত-সভা করিলেন, স্কুলের ছুটির পর তেতলার ঘরে । উদ্দেশু, এ হেডমাস্টারকে না তাড়াইলে স্কুলের উন্নতি নাই। এক দুই শত টাকা মাহিনা লইবে, তাহার উপর ছেলে আসেন স্কুলে । মাস্টারদের এই দুর্দশ। হেডমাস্টার ও মেম বিতাড়ন না করিলে স্কুল টিকিবে না। যদুবাৰু বলিলেন, কী উপায়ে সরানো যায় বলুন ? হিমালয় পৰ্ব্বত কে সরায় ? —কমিটীর কাছে দরখাস্তু পেশ করি সবাই মিলে। আমাদের ভিউজ আমরা লিখি। ক্ষেত্রবাবু বলিলেন, কিছু হবে না মিঃ আলম। কমিট ওতে কানও দেবে না, উলটে। বিপত্তি হবে। মিঃ আলম বলিলেন, দেখুন, কী হয়! আমি বলছি, ওতে ফল হ'ড়েই হবে। এ মাটিংয়ে নারাণবাবু ছিলেন না, কিন্তু রামেন্ধুবাবু ছিলেন। তিনি বলিলেন, আমি এ অপোজ করছি। হেডমাস্টার বিতাড়ন ক’রে ফল ভাল হবে কে বলেছে ? সেটা উচিতও নয়। মি: আলম বলিলেন, তবে কিসে ফল ভাল হবে ? —ভা আমি জানি নে, “বে হেডমাস্টার কড়া বটে, কিন্তু এ ভেরি গুড টীচার। অমন লোককে বুড়ে বয়সে তাড়ালে ধৰ্ম্মে সইবে না, আর তাড়াতে পারবেনও না। —কেন ? —কমিটীর কাছে হেডমাস্টারের পোজিশন খুব সিকিওর। তার ওকে মেনে চলে, শ্রদ্ধা করে । -