পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/১২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনুবৰ্ত্তন —শক্রও আছে, যেমন ডাক্তার গাজুলী, সাতকড়ি দত্ত, মি: সেন—এর স্বদেশী কিনা, সাহেবকে দেখতে পারেন না। আপনার বলুন, আমি তদ্ধিরতদারক আরম্ভ করি, মেম্বরদের —বিশেষ ক'রে স্বদেশী মেম্বরদের বাড়ী যাই। রামেন্দুবাৰু বলিলেন, আমি এর মধ্যে নেই। তবে আমি সাহেবকেও কিছু বলব না। আপনাদের এর মধ্যেও থাকব না, আপনারা যা হয় করুন। মি: আলম বলিলেন, একটা কথা আছে এর মধ্যে । -कौ ? - —আপনার সবাই কিন্তু বলুন, এর পরে আমাকে হেডমাস্টার করবেন আপনারা। মাস্টারের দণ্ডমুণ্ডের মালিক নহেন, বেশ ভাল রকমই তাহ জানেন, তবুও ঘড়ি নাড়িয়া কেহ সায় দিলেন, কেহ উৎসাহের মুহিত বলিলেন, বেশ, বেশ । অর্থাৎ যে ক্ষমতা তাহাদের নাই, অপর একজনের মুখে তাহা তাহীদের আছে শুনিয়া মাস্টারের দল খুশী ও উৎসাহিত হইয়া উঠিলেন। রামেন্দুবাবুর দলের দুই-একজন মাস্টার নিজেদের মধ্যে বলাবলি করিলেন, তাহারা রামেন্দুবাবুকে হেডমাস্টার করিবেন। ক্ষেত্রবাবু বলিলেন, মিঃ আলম, তবে আপনাকে মাইনে কম নিতে হবে। —কত বলুন ! —একশোর বেশী নয়— —সে আপনাদের বিবেচনা, যা ভাল হয় করবেন। যদুবাবু বলিলেন, আচ্ছা, আপনাকে যদি আর পচিশ বেশী দেওয়া যায়, তবে আপনি আমাদের মাইনের বিষয়টা ৪ দেখবেন। এই স্কেল করুন না, গ্র্যাজুয়েট পঞ্চাশ টাকা। আণ্ডার-গ্র্যাজুয়েট চল্লিশ । মাহিনার কত স্কেল হইবে, তাহা লইয়া কিছুক্ষণ মাস্ট্রারদের তুমুল তর্ক-বিতর্কের পর স্থির হইল, যদুবাবুর প্রস্তাব গ্র্যাজুয়েটদের পক্ষে ঠিকই রহিল, তবে আওীর-গ্র্যাজুয়েটদের ত্ৰিশের বেশী আপাতত দেওয়া চলিবে না । জ্যোতির্বিবনোদ বলিলেন, পণ্ডিতদের সম্বন্ধে একটা বিবেচনা করুন। মি: আলম বললেন, আপনারা কত হলে খুশী হন 1. যদুবাৰু বিষম আপত্তি উঠাইলেন। আওrর-গ্র্যাজুয়েট আর পণ্ডিত এক স্কেলে মাহিনী পাইবে, তাহ হয় না। হেডপণ্ডিত পয়ত্রিশ, অঙ্ক পণ্ডিত ত্রিশ ও পচিশ। হেডমাস্টার হওয়ার আসন্ন সম্ভাবনায় উৎফুল্ল মি: আলম যন্ধুবাবুর প্রস্তাবে তৎক্ষণাৎ রাজী হইয়া গেলেন। মাস্টারের বলাবলি করিতে লাগিলেন, ব্যবস্থা ভালই হইয়াছে। যছবাৰু বলিলেন, আজ ছবছর ধরে আড়াই মাস খেটে এক মাসের টাকা পাচ্ছি—আজ এক টাকা, কাল ছু টাকা, এ আর সঙ্ক হয় না। তার ওপর মাইনে গেল করে। ইন্‌ক্রিমেন্ট তো হলই না আধ পয়সা আজ চোঙ্গ বছরের মধ্যে ।