পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/১২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিভূতি-রচনাবলী ক্ষেত্রবাবু কাশিয়া বলিলেন, না তার, আমি ক্ষেত্রবাৰু। —ও ! ক্ষেত্রবাবু এস এস। এত রাত্রে ? ক্ষেত্রবাবু ঘরে ঢুকিয়া সামনের চেয়ারে মেমসাহেবকে দেখিয়া বলিলেন, গুড ইভনিং মিস, সিবসন! বুদ্ধিমতী মেমসাহেব প্রতিসম্ভাষণ-বিনিময়াস্তে অন্য ঘরে চলিয়া গেল। ক্ষেত্রবাবু সাহেবকে সব খুলিয়া বলিলেন। সাহেব তাচ্ছিল্যের স্বরে বলিলেন, এই ! তা আমি রিজাইন দিতে প্রস্তুত আছি, তাতে शक् िछून डांज श्ग्र-cशंक । ক্ষেত্রবাবু বলিলেন, না স্তার, তা হলে স্কুল একদিনও টিকবে না। —না, যদি মেম্বরেরা আমার কাজে সন্তুষ্ট না হন, তবে আমার থাকার দরকার নেই। —স্তার, আপনি যদি বলেন, তবে আমরাও অন্য অন্য মেম্বরের বাড়ী গিয়ে উলটো তদ্বির করি, আপনাকে পছন্দ করে এমন মেম্বর সংখ্যায় কম নয় কমিটীতে। সাহেব নিতাস্ত উদাসীন ভাবে বলিলেন, আমি এই স্কুল গড়ে তুলেছি, যখন এ স্কুলের তার আমি নিষ্ট, তখন স্কুলে দেড় শো ছেলে ছিল। আমি হাতে নিলে চার শো টাডায় ছাত্রসংখ্যা। তারপর আবার কমে গেল। নতুন প্রণালীতে স্কুল চালাব ভেবেছিলাম, অক্সফোর্ড থেকে শিখে এসেছিলাম, আমার সব নোন করা আছে। এক গাদা নোন –দেখতে চাও দেখাব একদিন। কিন্তু যদি কমিটী আমাকে না চায়, রিজাইন দিয়ে চলে যাব। এই অঞ্চলে সবাই আমার ছাত্র-চোদ্দ বছর ধরে এই স্কুলে কত ছাত্র আমার হাত দিয়ে বেরিয়েছে ! বুড়ে বয়সে খেতে না পাই, এর বাড়ী একদিন ব্রেকফাস্ট খেলাম, আর-এক ছাত্রের বাড়ী একদিন ডিনার খাওয়ালেও এই রকম করে চলে যাবে। নারাণবাৰু কোথায় ? —বোধ হয় এখন টুইশানিতে। —৪ই একজন সাধুপ্রকৃতির মানুষ। এ সব কথা নারাণবাৰু জানে ? —আমাদের মনে হয় শোনেন নি। ওঁর কানে এ কথা কেউ ইচ্ছে ক’রেই ওঠায় না। --দেখে এস তো। যদি এসে থাকে, ডেকে নিয়ে এস– নারাণবাবু কিছুক্ষণ পরে জ্যোতিবিনোদের সঙ্গে ঘরে ঢুকিলেন। সাহেব বলিলেন, শুনেছেন নারাণবাবু, আমাকে কমিটী থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার পরামর্শ হচ্ছে । নারাণবাৰুতি মুখে অবিশ্বাসের স্বরে বলিলেন, কে বললে তার । —জিজ্ঞেস করুন এদের । আমার বিশ্বস্ত লেফটেনাণ্ট মি: আলম এই চক্রান্ত করছে। এত তু ত্রুতি! নারাণবাৰু হাসিয়া বললেন, জগতে ক্রটাসের সংখ্যা কম নেই স্তার। কিন্তু আমি আশ্চৰ্য্য হচ্ছি যে, এত দিন আমি কিছুই শুনি নি এ কথা ! —কোথা থেকে শুনবেন ? আপনি থাকেন আপনার কাজ নিয়ে।