পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/১৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অল্পবৰ্ত্তন —কে ? —আমি কমলেশ স্কার, আমাদের নাইট-ডিউটি আঞ্জ। বিমলও আসছে। —নারাণবাবু বলিলেন, হ্যা কমলেশ, চুনিকে চিনিস } —ন স্তার। —থার্ড ক্লাসে পড়ে—ভাল নামটা কী যেন । দীপ্তি বোধ হয়। —ষ্ট্য স্তার। —কাল একবার বলবি বাবা— নারাণবাবু স্থাপাইতে লাগিলেন। কথা বলিবার শ্রম সহ্য হয় না। —বলব স্তাব, আপনি বেশী কথা বলবেন না—গরম জলট করি। মালিশটা— পবদিন সকাল হইতে নারাণবাবু আর মানুষ চিনিতে পারেন না। কমলেশ ও বিমল চুনিকে গিয়া বলিল। চুনি মহাব্যস্ত, আজ তাহীদের পাড়ার ম্যাচ, তাহাকে ব্যাকে খেলিতে হইবে। আচ্ছা, খেলার পর বরং-রাত্রেই সে চেষ্টা করিয়া দেখিবে। চুনি আসিয়াছিল, কিন্তু নারাণবাবু আর তাহাকে চিনিতে পারেন নাই। লোকে বলিতেছিল, তাহার জ্ঞান নাই। সে কথা আসলে ঠিক নয়। তিনি তখন তারাজোল গ্রামের মাঠে, বনে, দামোদরেরবাধে বাল্যসঙ্গী চুম্ব আর গদাই নাপিতের সঙ্গে আকন্দগাছের ফলের তুলা সংগ্ৰহ করিতে ব্যস্ত ছিলেন, পঞ্চাশ বৎসর আগের দিনগুলির মত। চুনির কণ্ঠস্বরও উহাকে সেখান হইতে ফিরাইতে পারিল না। কখনও বা অহুকুলবাবু তাহাকে বলিতেছিলেন, নারাণ, মানুষ তৈরী করতে হবে। তুমি আর আমি দুজনে যদি লাগি—“বউবাজারে এই স্কুলের একটা ব্রাঞ্চ খুলব সামনের বছর থেকে। তুমি হবে য়্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার। সব বেলফলের বিচি থেকে কি চারা হয় । বহু অপচয়ের অঙ্ক হিসেবে ধরেই ভগবানের এই স্থষ্টি। ভগবানের গৃহস্থালী কৃপণের গৃহशांठी नग्न नांद्रां५ ।••• স্কুল-মাস্টারের মধ্যে সবাই তাহার খাটিয়া বহন করিয়া নিমতলায় লইয়া গেল। হেডমাস্টার নিজের পয়সায় ফুল কিনিয়া দিলেন। অনেক ছাত্রও সঙ্গে গেল । শুধু ক্লার্কওয়েল সাহেবের স্কুল নয়, আশেপাশে দুই-তিনটি স্কুলও এই আদর্শ শিক্ষাব্রতীর মৃত্যুতে একদিন করিয়া বন্ধ রহিল। যদুবাৰু বাজার করিয়া বাসায় ফিরিলেন। স্কুলের সময় হইয়া গিয়াছে। স্ত্রকে বলিলেন, মাছটা ভেজে দাও, নটা বেজে গিয়েছে—আজ একজামিন আরম্ভ হবে কিনা ! ঠিক টাইমে না গেলে সাহেব বকাংকি করবে । শীতকালের বেলা। বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হইবে বলিয়া বন্ধুবাবু সকালে উঠিয়া ব্লাসার অতি ক্ষুত্র দাওয়াটাতে দাড়ি কামাইতে বলিয়াছিলেন। দাড়ি কামানো শেষ করিয়া বাজারে