পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/১৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জিনিসটা এবার গেম-মাস্টারের চোখ এড়াইল না, কারণ তাহার দৃষ্টি আর নভেলের পাতায় নিবদ্ধ ছিল না, ধীরে ধীরে কাছে গিয়া ছেলেটির পিঠে হাত দিয়া গেম-ট্টাচার কড়াস্বরে হাকিল, কী ওখানে ? দেখি, বার কর— ছেলেটির মুখ শুকাইয়া গিয়াছে। সে বলিল, কিছু না স্তার— -cशभि ८कशन किडू बाবলা বাহুল্য, বই নিছক জড়পদার্থ, যেখানে রাখ সেখানেই থাকে, টানিতেই বাহির হইয়া পড়িল, ছেলেটি বিষন্নমুখে দাড়াইয়া এদিক ওদিক চাহিতে লাগিল। তাহার অপকার্ধ্যের সাখী পাশের ছেলেটি তখন একমনে খাতার উপর ঝুঁকিয়া পড়িয়া নিতান্ত ভালমানুষের মত লিথিয়া চলিয়াছে । - দণ্ডায়মান ছাত্রটি হঠাৎ তাহার দিকে দেখাইয়া বলিল, স্তার, ক্ষিতীশও তো এই বই দেখে লিখছিল । ক্ষিতীশ বিক্ষিত দৃষ্টিতে তাহার মুখের দিকে চাহিয়া বলিল, আমি ! আমি টুকছিলাম ? গেম-টাচার বইখানি ক্ষিতীশকে দেখাইয়া বলিলেন, এই বই দেখে তুমিও টুকছিলে ? ক্ষিতীশ অবাক হইয়া ফ্যাল ফ্যাল করিয়া বইখানির দিকে চাহিয়া রহিল, যেন জীবনে সে এই প্রথম সে-বইখানা দেখিল । —আমি স্তার টুকব বই দেখে! আমি ! তাহার মুখের ক্ষুব্ধ, অপমানিত ও বিন্মিত ভাব দেখিয়া মনে হয়, যেন গেম মাস্টার তাহাকে চুরি বা ডাকাতি কিংবা ততোধিক কোন নীচ কাৰ্য্যে অপরাধী স্থির করিয়াছেন। স্বতরাং সে বাচিয়া গেল ! তাহার বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ নাই—এক আসামী ছাত্রের উক্তি ছাড়া গেম-মাস্টার কিছু লেখেন নাই। আসামী হেডমাস্টারের টেবিলের সম্মুখে নীত হইল, সেখানেও সে তাহার সঙ্গীর নাম করিতে ছাড়িল না। হেডমাস্টার হাকিলেন, বি এ স্পোর্ট, আর ইউ নটু অ্যাশেম্ভ অফ নেমিং ওয়ান অফ সপাসপ বেতের শব্দে আশেপাশের ঘরের ও হলের ছাত্রেরা ভীত ও চকিত দৃষ্টিতে হেডমাস্টারের আপিস-ম্বরের দিকে চাহিল। ঢং ঢং করিয়া ঘণ্টা পড়িল । পাহারাদার শিক্ষকেরা হাকিলেন, ফিফ টন্‌ মিনিটল মোর— একটি ছেলে ও-কোণে দাড়াইয়ু বলিল, স্তার, আমাদের ক্লাসে দেরিতে কোশ্চেন্‌ দেওয়৷ হয়েচেযন্ধুবাবুই এজন্য দায়ী। তিনি হাকিয়া বলিলেন, এক মিনিটও সময় ৰেশ দেওয়া হবে না— কারণ, তাহা হইলে আরও খানিকক্ষণ র্তাহাকে সে ক্লাসের ছেলেগুলিকে আগঙ্গাইয়৷ বলিয়া থাকিতে হয়। ছেলেরা কিন্তু অনেকেই আপত্তি জানাইল। মিঃ আলমের কাছে