পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/১৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামেন্দুবাৰু সকলকে ভাল করিয়া চা ও টোস্ট খাওয়াইলেন। মৃদুবাবুকে জিজ্ঞাস করিলেন, দাদা, আর কী খাবেন বলুন ? কেক্‌ একখানা দেবে ? —না, ভায়া, বরং একখানা মাম্লেট —ওহে, বাবুকে একটা ভবল ডিমের মামলেট দিয়ে যাও। চায়ের দোকান হইতে বাহির হইয়া সকলে যে যাহার টুইশানিতে বাহির হইলেন। যদুবাৰু পথে যাইভে যাইতে হঠাৎ দেখিলেন, প্রজ্ঞাব্রত ওপারের ফুটপাথ দিয়া ধাইতেছে। সে এবার ম্যাট্রিক দিয়া স্কুল হইতে বাহির হইয়া গিয়াছে, কলেজের ফাস্ট ইয়ারে পড়ে। কয়েকটি সমসয়সী বন্ধুর সঙ্গে বোধ হয় মাঠের দিকে খেলা দেখিতে যাইতেছে। যন্ধুবাবু ডাকিলেন, প্রজ্ঞাব্রত, ও প্রজ্ঞাব্রত— প্রজ্ঞাব্রত এদিকে চাহিয়া দেখিল, এবং কিঞ্চিং অপ্রসন্ন মুখে ও অনিচ্ছার সহিত এপারে আসিয়া বলিল, কী স্তার } যদুবাবু সপ্রশংস দৃষ্টিতে চাহিয়া দেখিলেন, ছেলেটির কী স্বন্দর উন্নত চেহারা, খেলোয়াড়ের মত সাবলীল দেহভঙ্গী, গায়ে সিদ্ধের হাফ-শার্ট, কাবুলী ধরনের পায়জামার মত করিয়া কাপড় পরা, পায়ে লাল, শুড়ওয়ালা চটি। স্কুলের নিচের ক্লাসের সে প্রজ্ঞাব্রত আর माझे । —ভাল আছ বাবা ? -ईTi স্তার। —যাচ্ছ কোথায় ? প্রজ্ঞাতত এমন ভাব দেখাইল যে, যেখানেই যাই না কেন, তোমার সে খোজে দরকার কী ? মুখে তাচ্ছিল্যের সঙ্গে উত্তর দিল, এই একটু ওদিকে— —ই্যা বাবা, একটা কথা বলব ভাবছিলাম। তোমাদের বাড়ী একবার যাব আজই ভাবছিলাম-তোমার বাবার সঙ্গে দেখা করতে তোমার ভাই দেবব্রতকে আজকাল পড়াচ্চে কে ? –শিববাবু বলে এক ভদ্রলোক। আপিসে চাকরি,করেন—আমাদের বাড়ির সামনের মেসে থাকেন— —ক’টাকা দাও ? —দশ টাকা বোধ হয়—কী জানি, ও-সব খবর আমি ঠিক জানি নে । —আমি বলছিলাম কি, অমিয় টুইশানিটা করে দাও না কেন। স্কুলের মাস্টার ভিন্ন ছেলে পড়াতে পারে ? আমি তোমাদের গ্রেহ করি নিজের ছেলের মত, আমি যেমন পড়াব— এমনটি কারও স্বারা হবে না, তা বলে দিচ্চি— —কিন্তু এখন তো আমরা সব চলে যাচ্ছি কলকাতা থেকে । ধন্থবাৰু বিস্ময়ের স্বরে বলিলেন, কলকাতা থেকে । কেন ? —শোনেন নি, জাপানীরা কবে এসে বোমা ফেলবে—এর পরে রাস্তাঘাট সব বন্ধ হয়ে