পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/১৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিভূতি-রচনাবলী যাবে হয়তে। আমরা বুধবারে বাড়ীম্বন্ধ সব ঘাচ্ছি শিউড়ি, আমার দাদামশায়ের ওখানে। আমাদের পাড়ার অনেকে চলে যাচ্ছে । --ठांहे मांकि ? প্রজ্ঞাব্রত ধীরভাবে বলিল, কেন, আপনি কাগজ দেখেন না ? হাওড়া স্টেশনে গেলেই বুঝবেন, লোক অনেক চলে যাচ্ছে। আচ্ছ, আসি তার— —জাচ্ছা বাবা, বেঁচে থাক বাবা । প্রজ্ঞাত্ৰত চলিয়া গিয়া যেন ছাপ ছাড়িয়া বাচিল । দেখ দেখি বিপদ! ঘাইতেছি বন্ধুদেব সঙ্গে বেড়াইতে, রাস্তার মাঝখানে ডাকিয়া অনর্থক সময় নষ্ট-কে এখন বুড়ামানুষের সঙ্গে বকিয়া মুখ ব্যথা করে । মানুষের একটা কাওঁজনি তো থাকা দরকার, এই কি ডাকিয়া গল্প করিবার সময় মশায় ? যদুবাবু কিন্তু অঙ্ক রকম ভাবিতেছিলেন। প্রজ্ঞাত্রতের কথায় তিনি একটু অন্যমনস্ক হইয়া পড়িলেন। কলিকাতা হইতে লোক পলাইতেছে জাপানী বিমানের ভয়ে ? তবে কি জাপানী বিমান এত নিকটে আসিয়া পড়িল । ছোট একটা টুইশানি ছিল। ভাবিতে ভাবিতে যত্নবাৰু ছাত্রের বাড়ী গিয়া উঠিলেন । দুইটি ছেলে, রিপন স্কুলে পড়ে—ইহাদের জ্যাঠামশায়ের সঙ্গে যদুবাবু এক সময়ে কলেজে পড়িয়াছিলেন, সেই স্বপারিশেই টুইশানি। যদুবাবু গিয়া দেখিলেন, বাহিরের ঘরে আলো জালা হয় নাই । ভাকিলেন, ও হরে, নরে । ঘর অন্ধকার কেন । হরেন নামক ছাত্রটি ছুটিয়া দরজার কাছে আসিয়া বলিল, স্যার ? —আলো জালিস নি যে বড় ? —স্তার, আজ আর পড়ব না। —কেন রে ? —আমাদের বাড়ীর সবাই কাল সকালের গাড়ীতেই দেশে চলে যাচ্ছে —ম৷ জ্যেঠীমা, দুই দিদি—সবাই যাবে। জিনিসপত্র বাধাছাদা হচ্ছে, বড় ব্যস্ত সবাই। আজ আর— আপনি চলে যান স্তার। “ . অশুদিন টুইশানির পড়া হইতে রেহাই পাইলে যদুবাবু স্বর্গ হাতে পাইতেন, কিন্তু আজ কথাটা তেমন ভাল লাগিল না। যন্ধুবাবু বলিলেন, তোরাও যাবি নাকি ? —একজামিনের এখনও দু দিন বাকী আছে, একজামিন হয়ে গেলে আমরাও ধাৰ । —কোথায় যেন তোদের দেশ ? —গড়বেতা, মেদিনীপুর। —আচ্ছা, চলি তা হলে । অাজ খুব সকাল। সবে সন্ধ্যা হইয়াছে। এ সময় বাষ্ঠী ফেয়া অভ্যাস নাই। বিশেষত এখনই সে কোটরে ফিরিতে ইচ্ছাও করে না। তার উপর অবনী রহিয়াছে, জালাইয়া