পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/১৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনুবর্তন —তুমি তা হলে কাল সকালেই তোমার বউরিদিকে নিয়ে যাও— —তা–তা দেখি —অবনী গুম্‌ খাইয়া গিয়া আপন মনে কী খানিকটা ভাবিল। কিছুক্ষণ পরে বলিল, ছ্যা দাদা, সত্যি সত্যি আজ রাতে কিছু হতে পারে ? —কথার কথা বলচি । হতে পারবে না কেন, খুব হতে পারে। বাধা কী ? তুমি বোস, श्रांभि झू उँफ़ शहे निरग्न श्रांनि । বহুবাবুর স্ত্রী কী কাজে ঘরের মধ্যে ঢুকিয় দেখিল, অবনী নিজের ছোট টিনের স্কটকেসটি খুলিয়া কাপড়চোপড় বাহিরে নামাইয়া আবার তুলিতেছে। তাহাকে দেখিয়া বলিল, বউদিদি, আমার গামছাখানা কোথায় ? - আহারাদির পরে যত্নবাবু অবনীর সঙ্গে পরামর্শ করিলেন। এখানে তিনি স্ত্রীকে আর রাখিতে চান না। কাল দুপুরে অবনী তাহাকে লইয়া যাক। बदनौ। निशब्रोर्डौ श्हेल । ” সকালে উঠিয়া ঘরের দোর খুলিয়া দালানে পা দিয়া যদুবাবু দেখিলেন, অবনার বিছানাটা গুটানো আছে বটে, কিন্তু সে নাই। অবনীকে ডাকিয়া তুলিতে হয়—অত সকালে তো সে ওঠে না। কোথায় গেল ? অবনী আর দেখা দিল না। টিনের হুটকেসটি কখন সে রাত্রে মাথার কাছে রাখিয়াছিল, ভোরে উঠিয়া গিয়াছে কি রাতেই পলাইয়াছে, তাহারই বা ঠিক কী ? পরদিন স্থলে শিক্ষকদের মধ্যে একটা উত্তেজনা ও চাঞ্চল্য দেখা গেল। ক্ষেত্রবাবুর বাসার আশেপাশে যাহারা ছিল, সকলেই নাকি কাল ৰাসা ছাড়িয়া পলাইয়াছে। ক্ষেত্রবাবু গীকে লইয়। তেমন বাসায় কী করিয়া থাকেন। যদুবাবুর বিপদ আরও বেশী, তাহার যাইবার জায়গা নাই । জ্যোতির্বিবনোদের বাড়ী হইতে টেলিগ্রাম আসিয়াছে—কলিকাতায় আর থাকিবার আবশ্বক নাই, এখনই চলিয়া এস, প্রাণ বাচিলে অনেক চাকুরি মিলিবে । হেডমাস্টার মীটিং করিলেন –অভিভাবকেরা চিঠি লিখ্রিতেছে, স্কুলের প্রমোশন তাড়াতাড়ি দেওয়া হউক, ছেলেরা সব বাহিরে যাইবে—এ অবস্থায় মাস্টারদের কাছে যে সমস্ত পরীক্ষার থাভা আছে, সেগুলি যত শীঘ্র হয় দেখিয়া ফেরত দেওয়া উচিত। মিঃ আলম বলিলেন, অনেক ছেলে ট্রান্সফার চাইছে, কী করা যায় ? সাহেব বলিলেন, একে স্কুলে ছেলে নেই, এর উপর ট্রান্সফার নিলে স্কুল টিকবে না। তার চেয়েও বিপদ দেখছি, মাইনে তেমন আদায় হচ্ছে না। বড়দিনের ছুটির আগে মাইনে দেওয়৷ স্বাবে না। যন্ধুবাবু উদ্বিগ্নকণ্ঠে প্রশ্ন করিলেন, দেওয়া যাবে না তার ? -नी । - —নভেম্বর মাসের মাইনে হয় নি এখনও! আমরা কী করে চালাব হাবু, একটু বিবেচনা করুন। ছমাসের মাইনে দি বাকী থাকে-