পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/১৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমুবৰ্ত্তন —রান্না হয়ে থাকে, দাও। আমি একবার যছদার বাসা থেকে আসি। দেখে আসি, কি করছে ওরা ! বহুবাবু ৰাসায় পা দিতেই তাহার স্ত্রী বলিল, ওগো, কী হবে গো ? সবাই চলে যাচ্ছে, কী করবে কর। কোনদিন ঝুপ করে বোমা পড়বে, তখন— —দাড়াও, একটু স্থির হতে দাও। চা কর, আগে খাই । তারপর সব শুনছি। চা করিয়া যদুবাৰুর গৃহিণী কাসার গ্লাসে আঁচল জড়াইয়া লইয়া আসিল। যদুবাবু বলিলেন, কেন, পেয়ালা ? —সে ও-বেলা ধুতে গিয়ে হাত থেকে পড়ে গুড়ো হয়ে গেল । যদুবাবু রাগিয়া উঠিলেন : তা ভাঙবে বইকি, তোমাদের তো ভেবে খেতে হয় না। জিনিসপত্র নষ্ট করলেই হল—লাগে টাকা, দেবে গৌরী সেন ! একটা পেয়ালার দাম কত আজকালকার বাজারে, তার খোজ রাখ ? এমন সময় বাহিরে ক্ষেত্রবাবুর গলা শোনা গেল : ও যদুদ, বাসায় আছেন নাকি ? যদুবাবু তাড়াতাড়ি চা-মৃদ্ধ কালার মাসটা স্ত্রীর হাতেদিয়া বলিলেন,এটানিয়ে যাও—নিয়ে যাও। দেখে ফেলবে, বলবে কী ? গলার স্বর বাড়াইয়া বলিলেন, এস ক্ষেত্র ভারা–এস এস— -दौ श्रक्र ? –এই সবে এলাম ভাই। সবে মিনিট দশেক। তারপর কী মনে করে । বোস এইটেতে। —বউদিদি কোথায়? ও বউদিদি, বলি, একটু চ'-টা না হয় করেই খাওয়ান— যদুবাৰু হাসিয়া বলিলেন, চা খাবে কি ভাই, পেয়ালা ভেঙে বসে আছে তোমার বউদিঞ্জি —র্কাসার গেলাসে চা খাচ্ছিলাম, তা তোমাকে কি আর তাতে— —খুব দেওয়া যাবে। তাতেই দিন না বউদিদি। --দাও তা হলে, ওগো, ওই চা-ই দিয়ে যাও—ক্ষেত্র ভায়া মুামাদের ঘরের লোক । চা আসিল। চা থাইতে খাইতে ক্ষেত্রবাবু বলিলেন, ত'তো হল। এখন কী উপায় করা যাবে বলুন দিকি ? কলকাতার যা অবস্থা ! লোক সব পালাচ্চে— —হেডমাস্টার তা বুঝবেন না। র্তার মতে কোন বিপদের কারণ নেই। আবার বাড়ী বাড়ী ঘুরে ক্যান্‌ভাসিং করতে হবে ছেলের জন্য ! ছেলে কোথায় ? কলকাতা শহর তো ফাকা হয়ে গেল। - —তা কি আর সাহেকে বোঝানো স্বাবে দাদা ? কাল থেকে ক্যান্‌ভালিংয়ে না বেরূলে সাহেব রাগ করবে. আপনারও তো ডিউটি আছে। –তাই তো, কী করা যায় ভাবচি। মুশকিল আসলে কী হয়েছে জান ভায়, হাতে নেই পয়ল। রামেৰুভায়াকে ধরেছি, সাহেবকে বলে গোটাদশেক টাকা আমায় না নেওয়ীল চলবে না।