পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/১৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পুনর্জন্ম। স্বছবাৰু হাপ ছাড়িয়া বাচিলেন। জাপানী বোমার পাল্লা হুগলী জেলা পৰ্য্যস্ত পৌছিবে না। ক্ষেত্রবাবু শেষ পৰ্য্যস্ত আসসিংড়ি গ্রামে যাওয়াই স্থির করিলেন। প্রায় আজ দশ বছর পরে যাওয়া। বহু কষ্টে ভিড়, অন্ধবিধা, অতিরিক্ত খরচ, ধাক্কাথুক্তি সদ্ধ করিয়া গ্রামে আলিয়৷ পৌঁছিলেন সন্ধ্যার কিছু আগে। গিয়া দেখিলেন, পৈতৃক বাড়ীর পশ্চিম দিকের কুঠুরিতে গ্রামের এক গরীব গৃহস্থ আশ্রয় লইয়াছে, তাছার জাতিতে কৈবৰ্ত্ত। তাহারা মনের আনন্দে তরিতরকারির ক্ষেত করিয়াছে। কোন কালে কেহ আসিয়া এ-সব কাজের কৈফিয়ত চাহিবে, তাহারা কোনদিনও ভাবে নাই। হঠাৎ সন্ধ্যাবেল বাড়ীর মালিকদের আকস্মিক আবির্ভাবে তাহারা সম্বুস্ত তটস্থ হইয়া পড়িল। ক্ষেত্রবাবু বলিলেন, কে হে ! ও, পাচু না ? তোমরাই আছ ? পাচু হাত কচলাইয়া বলিল, আঙ্গে আমরাই। বাড়ীম্বর সেবার পড়ে গেল ঝড়ে, তা বলি বাবুর বাড়ী পড়ে রয়েছে, তাই আমরা— —আছ, ভালই। বাপের ভিটেতে সন্ধ্যে পড়ছে। ত ওদিকে অত জঙ্গল করে রেখেছ কেন ? নিজেরাই থাক, একটু ভাল করে রাখলে পার। ওদিকের ঘরগুলো ভাল আছে ? —ন। বাৰু। ওই একখানা ঘর ভাল ছিল, আমরাই থাকি। ওদিকের ঘরের ছাদ দিয়ে জল পড়ে। —ম্বাই হোক, এখন রাত্তিরটা থাকার ব্যবস্থা কী করা বায় ? —ওদিকের ঘর দুটো পরিষ্কার করে দিই বাবুকে। এখন আহন। সেই ভাঙা ঘরের স্তাতসেতে মেঝেতে জিনিসপত্র স্ত্রীপুত্ৰ লইয়া ক্ষেত্রবাৰু সেই পৰ্যা হইতে অধিষ্ঠিত হইলেন। অনিলার আদৌ ইচ্ছা ছিল না এখানে আসিবার। শুধু টাকা পয়সার অভাবে গ্রামে আসিতে বাধ্য হইতে হইয়াছে ! * অনিলা বলে, সাপখোপ কামড়াবে নাকি ! মেঝের ওপর শোয়া-তোমার এখানে তক্তাপোশ নেই ? —ছিল—সবই। আজ দশ বছর আলি নি, লোকে চুরিই করুক বা উইয়েই থাক— পাঁচ-ছয় দিন কাটিয়া গেল। * গ্রামে আসিয়া নূতন জীবন শুরু হইয়াছে ক্ষেত্রবাবুর। সকালে উঠিয়া জেলেপাড়া হইতে মাছ সংগ্ৰহ করিয়া আনেন, বন-বাগান হইতে এচিড় ডুমুর পাড়িয়া জানেন, কয়লা পাওয়া যায় না—স্বতরাং কাঠ কুড়াইয়া আনেন। সকালে সাড়ে নয়টায় খাওয়ার পরিবর্তে বেলা বারোটায় খান । - অনিল বলে, প্রাণ গেল বাপু, একটু ཝ་པཱ། ཤཱ།ཞེ་གrr সনে, এমন লোক জেলে इं ।