পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/১৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বহুবাৰু ভাঙেন তৰু মচকান মা। ব্যাঙ্কের ত্রিসীমানা দিয়া ষে তিনি কস্মিনকালে ৰাটেন নাই, অবনীকে এই সোজা কথাটা বলিলেই হাঙ্গামা চুকিয়া যায় ; কিন্তু তা তিনি অনেক টাকা কলিকাতার ব্যাঙ্কে মজুত । সেই দিন হইতে উহাদের দিক হইতে নানা ধরনের তাগিদ আসিতে লাগিল। আজ অবনীর মেয়ে উমার কাপড় নাই, কাল কাছারীর খাজনা না দিলে মান থাকে না, পরন্ত অবনীর নিজের জুতা এমন ছিড়িয়াছে যে একজোড়া নতুন জুতা ভিন্ন ভদ্রসমাজে সে মুখ দেখাইতে পারিতেছে না। তা ছাড়া, সংসারের বাজার-খরচের প্রায় সমুদায় ভার পড়িল । যত্নবাবুর ঐ জানে, স্বামীর কাছে কিছু চাওয়া ভুল। তোরজের তলায় একটা পিছরের কৌটার মধ্যে বহুকালের ছল ভাঙা, নখের টুকরা, এক কুচি চুড়ির গুড়া, ছুই-চারিট সি ছয়-মাখানো লক্ষ্মীর টাকা ইত্যাদি ছিল। সব গৃহিণীই এগুলি লুকাইয়া কুড়াইয়া রাখিয়া দেন, স্বত্ববাবুর ীিও তাহা করিয়াছিল। কত কালের স্বতি-জড়ানো এই অতিপ্রিয় ফ্রব্যগুলির দিকে চাহিয়া তাহার চোখে জল আসিল । শেষ সম্বল সোনার কুচি—লোকে কথায় বলে। সত্যিই সেই শেষ সম্বলটুকুও কি হাতছাড়া করিতে হইবে, অবস্থা এত মঙ্গ হইয়া আসিয়াছে ? অবনী একদিন যন্ধুবাবুর কাছে ভূমিকা ফাদিয়া বলিল, দাদা একটা কথা বলি। এ মাসে আমায় কিছু টাকা দিন। একটা গরু বিক্ৰী আছে আদাড়ী জেলেনীর, বাইশ টাকা দাম চায়—এবেলা এক সের ওবেলা এক সের দুধ দিচ্ছে। আপনার অস্বখের জন্যে দুধের তো भद्रकांद्र । गंक्रü1 किtन ब्रांथि, मद शंक्रांशी भिर्ण शांग्र । বহুবাৰু স্বভাবসিদ্ধভাবে উত্তর দিলেন, তা—তা—বেশ। মন্দ কী ? ধ্যা, সে ভালই। অবনী উৎসাহ পাইয়া বলিল, কবে দিচ্ছেন টাকাটা । আজ না হয় পাচটা টাকা দিন, বায়ন করে আলি। হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে— আসলে সেদিন আড়াটার বাজারে অবনীর পাচ, টাঙ্ক ধার শোধ দেওয়ার ওয়া ছিল, কুণ্ডুজের দোকানে অনেক দিনের দেন, নতুবা তাহারা নালিশ রুদু করিবে বলিয়া শালাইয়াছে। বহুবাৰু বলিলেন, তা এখন তো হয় না। তোমার বউদিদির কাছে চাবি। সে ঘাটে গিয়েছে। স্বত্ববাবুর উপর হইতে চাপ গিয়া পড়িল এবার উাহার বেচারী স্ত্রীর উপর। বউদিদি কেন