পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/১৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

—আচ্ছা, থাৰু থাক, তার জন্তে নাকে কেঁদে কী হবে ? আবার হবে লব—কেবল ওই অবনীটার জালায়— কিন্তু লক্ষণ ক্রমশ খারাপ দেখা দিল। আষাঢ় মাস পড়িবার সঙ্গে সঙ্গেই বহুবাৰু যেন আরও দুৰ্ব্বল হইয়া পড়িলেন। জর রোজ আসে, কোন দিন ছাড়ে, কোনদিন ছাড়ে না। সে দিন জগন্নাথের স্নানযাত্রা। সকালের দিকে বৃষ্টি হইয়। ছপুরের পর বৃষ্টিধৌত স্বনীল আকাশে ঝলমলে সোনালী রোদ উঠিল। আতাগাছটাতে, ফুটন্ত ফুলে ভরা আকৰ্ম্মগাছটাতে, বঁাশঝাড়ের মাথায় অদ্ভুত রঙের রোদ মাখানো। আতাফুলের কুঁড়ির যুদ্ধ স্ববাস শৈশবের কথা স্মরণ করাইয়া দেয়। - অবনীর মেয়ে টুনি বলিতেছে, মা আমি পঞ্চুমীর পালুনি করে পান্ত ভাত খেতে পারব না किरू दरल फ़िक्रि, *ि'tफ़ थांद । যন্ধুবাবুর মনে পড়িল, তাহার মা'যন্ধুবাবুর বাল্যদিনে মনসার পালুনি করিয়া পাতে যে চিড়ার ফলার রাখিয়া উঠিতেন, তাহ খাইবার জন্ত তাহাদের দুই ভাইবোনের কাড়াকড়ি পড়িয়া যাইত। কোথায় সে বাল্যকালের মা, কোথায় বা সেই ছোট বোন মঙ্গলা। চল্লিশ বছরের ঘন কুয়াশায় তাহাদের মুখ মনের দর্পণে আজ অস্পষ্ট। তারপর কতকাল গ্রামছাড়া। ১৯•• সালের পর আর গ্রামে এভাবে বাস করা হয় নাই। সেই সালেই যদুবাৰু এন্টু দি পাশ করেন বোয়ালমারি হাই স্কুল হইতে । দাড়িওয়াল বৃদ্ধ রামকিঙ্কর বন্ধ ছিলেন হেডমাস্টার। যেমন পাণ্ডিত্য, তেমনই বেতের বহর ছিল তাহার। রামকিঙ্কর বোসের বেত খাইয়া অনেক ডেপুটি মূন্সেফ পয়দা হইয়া গিয়াছে সেকালে । যন্ধুবাবুকে বলিয়াছেন—যছ, তুমি বড় ফাকিবাজ, টেস্ট পরীক্ষায় টুকে পাস করলে, চিরকালই পরের টুকে পাস করলে, জীবনের পরীক্ষায় যেন এ রকম ফাকি দিয়ে না, বড় ফাকে পড়ে যাবে। বেলা পড়িয়া আসিয়াছে। কী স্বন্দর অপরাহের নীল আকাশ ! কী স্বন্দর সোনার রঙের সূৰ্য্যালোক ! ছোট গোয়ালে-লতার ঝোপে একজোড়া" বনটিয়া আসিয়া বসিল । ছেলে বেলায় যদুবাৰু পাখী বড় ভালবাসিতেন। পদ বুনো নামে তাহায়ের এক পৈতৃক প্রজা ছিল, তাহার সঙ্গে মিশিয়া ফাদ পাতিয়া জলচর পক্ষী ধরিতেন—সরাল, পানকৌড়ি, বক, শামুকুড়–কত কাল এসব দেখেন নাই ! গানের তাল কবে কাটিয়াছিল, স্মরণ নাই। বৰ্ত্তমানের সঙ্গে অতীতের অনতিক্রমণীয় ব্যবধান । - cषन ठांशग्न नवमृ४ि छtअ७ श्रेग्रांप्इ ५३ cब्रांशनशाग्र ! ऎरेशानिद्र ब्लाइी नाहे, नाब्राদিনঠেসানদিয়াবাহিরের দিকে চাহিয়া থাকা । কতকালএতদীর্ঘ অবকাশ ভোগ করেন নাই । স্বাক্ষর রো, বনটিয়া, তাহার মনের এই অকারণ আনন্দ, শত অভাবের মধ্যেও মায়ের স্নেহময়ী স্মৃতির বাস্তবতা কোথা হইতে আসিল । ভগবান না থাকিলে ওই অনাখা নিঃসম্বল বিধবাকে