পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/১৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তোর পরনের কাপড় কাচা ? ঐ কলসীটা থেকে আমায় একটু খাবার জল গড়িয়ে দে দেখি— মেয়েটি তাই করলে। জব ঠাকরুণ বল্পেন-অরুচি কেন ? তোর মার কি ছেলেপিলে হবে না কি ? —ত তো জানিনে ঠাকমা। —যা, নিয়ে যা—তবে একটার বেশি নিবি নে—বুঝলি । ত্রব ঠাকরুণ খেয়ে উঠে মাছর পেতে একটু শুয়েচেন ; এমন সময় মূখুজে বাড়ীর বড় ছেলে অতুল এসে বল্পে-ও ঠাকৃমা, শুয়েচেন নাকি ? —হঁ্যা, কে । অতুল ? কি ভাই ? —আপনার পিটুলি গাছ আছে ? কলকাতা থেকে দেশলাইয়ের কারখানার লোক এলেচে গায়ের পিটুলি আর শিমূল গাছ কিলতে। আপনার যদি থাকে—বেশ দর দিচ্চে— —না বাপু, আমার নেই। —কেন আপনার বাড়ীর পেছনে হরি রায়ের দরুণ জঙ্গলে তো বেশ বড় বড় পিটুলি গাছ अtएझ् —না, আমি বেচবো না । আসলে এব ঠাকরুণের গাছপালার ওপর বড় মায়া, স্বামীর আমলের যা কিছু যৎসামাঙ্গ জমিজমা, তা প্রায়ই জঙ্গলাবৃত এবং বড় বড় বাজে গাছে ভতি । জালানি কাঠ হিসেবে বিক্রী করলেও এ কয়লার দুর্মুল্যতার দিনে দু’পয়সা পাওয়া যায়, কিন্তু গাছের একটা ডাল কাটতেও তার মায়। না খেয়ে কষ্ট পাবেন, তবুও গাছ বিক্রীর কথা তুলতেও দেবেন না। একজনের ভয়োপোকা লাগাতে সে ডুমুরপাত পাড়তে এসেছিল, কারণ ডুমুর পাতা দিয়ে শুয়ো-লাগা জায়গাটা ঘষলে শুয়ো ঝরে যায়, কিন্তু ত্রব ঠাকরুণ তাকে ডুমুর পাতা পাড়তে দেন নি। হয়তো এটা অতিরঞ্জিত গল্প মাত্র, তবে এর দ্বারা তার মনের অবস্থা অনেকটা বোঝা যাবে। ... • বৈকালের দিকে দ্রব ঠাকরুণ বেশ ভালোই বোধ করলেন। পাড়ার এক প্রাস্তে জঙ্গলে ঘেরা বাড়ী, বড় কেউ এদিকে বেড়াতে আসে না, এক নঠাকরুণ ছাড়া কেউ উকি মেরে বড় একটা দেখে না, এব ঠাকরুণ কিন্তু লোকজন, আড্ডা, মজলিস প্রভৃতি ভালোই বাসেন । কেউ এসে গল্প করে, এটা তার খুবই ইচ্ছে—কিন্তু ও বেলার সেই বালিকাটি ছাড়া ৰিকেলে আর কেউ এল না। সেও এসেচে নিজের স্বার্থে | —ঠাকুর-মা, একটা নেৰুদেবেন ? —কেন রে, কেন ? ওবেলা তো– —ওবেলার নেৰু ওবেলা ফুরিয়েচে, এবেলা একটা দরকার—ম বয়ে— —আচ্ছা, জায় উঠে বোল একটু— বালিকাটি অনিচ্ছামৰেও এসে বলে।, নয়তো লেবু পাওয়া ৰাম না।, বুড়ীর কাছে