পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/১৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিভূতি-রচনাবলী বলতে তার ইচ্ছে হয় না, তার সমবয়সী বালিকার রায়পাড়ার পুকুরধারে এতক্ষণ ফুল তোলাতুলি খেলা আরম্ভ করে দিয়েচে.তার প্রাণ রয়েচে সেখানে পড়ে। কিন্তু জব ঠাকরুণের নিঃসঙ্গ মন থাকে হয় অঁাকড়ে ধরতে চায় এই নির্জন বৈকাল বেলাটিতে—তবুও ছটো কথা বলবার লোক তো বটে। দ্রব ঠাকরুণ আপন মনেই বকে চলেছেন, নাংবৌয়ের মন্দ ব্যবহারের কথা, নাতির ছেলে খোকনের অলৌকিক গুণাবলী, ছোট নাতি পরেশ তাকে কি রকম ভালোবাসে“এই ধরণের মানা কথা শুনতে শুনতে ক্ষুদ্র শ্রোতাটির হাই ওঠে, সে করুণ স্বরে বলে—ঠাকুমা, মা সাবু চড়িয়ে আমায় বল্পে, নেবু নিয়ে আয়, বেলা গেল- - —ষ্ঠ্য হচ্চে হচ্চে—তারপর শোন না... —ম বক্বে—নেবু নইলে সাৰু খেতে পারবে না— —আচ্ছা, শোন—তারপর খোকনমণি সেই পেয়ার তো খাবেই, কিছুতেই ছাড়ে না— ওর মাও দেবে না—বড্ড হেজলদাগড়া মেয়ে ওর মা, আমি বলি, বৌ-চাচ্চে খেতে, এক টুকরো ওকে স্থাও—তা আমায় বললে—আপনি চুপ করে থাকুন, আপনি কি বোঝেন ছেলেমেয়ে মানুষ করার—একালের মাও অন্য রকম, আপনাদের সেকাল গিয়েচে ।“আমি জানিনে ছেলেমেয়ে মাস্থ্য করতে—তবে তুই তোর বর পেলি কোথা থেকে রে আবাগের বেটি ? —আমি এবার স্বাই ঠাকুমা—মেৰু একটা— --আচ্ছ তা বা নিয়ে একটা নেৰু—শুনলি তো সব কাওখান ? দিদিশাশুড়ী বড় प्रजএমন সময়ে বাড়ীর বাইরে একখানা গোরুর গাড়ীর শব্দ শোনা গেল। খুকী কৌতুহলে চোখ বড় বড় করে বল্লে—ও ঠাকৃমা, কে যেন এল গাড়ী করে—তোমার ওই তুত-তলায় शंiएँड्सौ नैंiप्लांटलlবলতে বলতে এব ঠাকরুণের মেজ নাতি নীরদচন্দ্র দুটি ভারী মোট দু'হাতে ঝুলিয়ে বাড়ী शूटक ७ांक क्टिज-e ठाकूमाদ্রব ধড়মড় করে উঠে দাড়িয়ে একগাল হেসে বলেন—কায় ? অায়, আয় ভাই-ভালো আছিল ? কায় এসে মোট নামিয়ে পিতামহীকে প্রণাম করলে,বালিকাটির দিকে চেয়ে বল্পে—এ হরিকাকার মেয়ে কনক না ? ও কত বড় হয়ে গিয়েচে—ভালো আছিল কনকী ! নে দাড়া—একখানা গজা নিয়ে যা— পুটলি খুলে মেয়েটির হাতে একখানা বড় গজা দিতে সে নিঃশব্দে হাসিমুখে হাত পেতে নিয়ে-দাড়িয়ে রইল, বড় মোটটার মধ্যে আরও কি কি জিনিল আছে দেখবার আগ্রহে। তাদের বাড়ীতে এমন কেউ নেই ষে বিদেশে চাকুরি করে...নিতান্তই অল্পবিত্ত গৃহস্থের সংসার —চাকুরে বল্লুর বাড়ী আলবার সময় কি কি নুপূৰ্ব্ব জিনিস না জানি নিয়ে আলে।