পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/২০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিভূতি-রচনাবলী বর্ধায় উকুন তে যাচ্ছেন, পেছনটান থাকলে তীর্থবাস হয় না—সে সব দান করে গেলেন রাখতেন। কাশীবাস করতে যাচ্ছেন, পেছনটান থাকলে তীর্থবাস হয় না—সে সব দান করে গেলেন কতক ন'ঠাকরণকে, কতক এ'কে ওকে। কনক একটা পাকা শসা হাতে এসে বলে—শসা খাবে ঠাকুমা ? —তুই এক বোঝা পাকাটি নিয়ে যা কনকী—ঠাক মাকে মনে রাখৰি তো ! ধীরে । কনক অনেকখানি ঘাড় নেড়ে বল্পে—হ-উ-উ— ন'ঠাকরুণ চোখের জল ফেললেন যাবার সময়ে। এব ঠাকরণ ট্রেনে কোনো রকমে শুচিতা বজায় রেখে কাশী এসে পৌছলেন। একটা গলির মধ্যে দোতলা একটা বাড়ীর নীচের তলার ঘরে কাছুর সেই বন্ধুর মা কাশীবাস করচেন। পাশেই আর একখানা ছোট ঘর ভাড়া নেওয়া হয়েছে এব ঠাকরুণের জন্যে । অপর বৃদ্ধাটির কাছে চাবি ছিল ঘরের, তিনি চাবি খুলে দিলেন। গ্রব ঠাকরুণ নিজের জিনিসপত্র নিয়ে সেই ঘরে অধিষ্ঠান হোলেন। এব ঠাকরুণ ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই সভয়ে আবিষ্কার করলেন, তার প্রতিবেশিনী নদে' জেলার লোক। কথাবার্তার ধরণ ও স্বর শহরে ও সম্পূর্ণ মাজিত। যশোর জেলার মানুষ দ্রৰ ঠাকরুণের ভয় পাবারই কথা বটে। তিনি এসে দ্রব ঠাকরুণের ঘরে ঢুকে বলেন— আপনার রান্নাবান্নার ব্যবস্থা কাল থেকে করলেই হবে—আজ আমার ঘরে দুধ আর মিষ্টি আছে, আপনার জন্যে রাখলুম কিনা। দ্রব ঠাকরুণ ভয়ে ভয়ে বল্পেন—ও ! প্রতিবেশিনী নিজের ঘর থেকে খাবার এনে বল্পেন—আপনার লোমবস্ত্র বার করুন— প্রব ঠাকরুশ ভালো বুঝতে না পেরে বরেন—কি বলেন । দ্রব ঠাকরুণের ‘বঙ্গেন" এই কথায় ‘ব’-এর উচ্চারণ যশোর জেলার উচ্চারণ রীতি অনুযায়ী প্রসারিত উচ্চারণ, প্রতিবেশিনী বৃদ্ধার উচ্চারণে এইসব স্থানের উচ্চারণ যতদূর সম্ভব আকুঞ্চিত। "বরেন’-এর উচ্চারণ বোল্লেন'-'ও' কার-এর উচ্চারণও যতদূর সম্ভব ঘোরালো। —বোলচি, লোমবক্স বের করে পরুন, একটু কিছু মুখে দিতে হবে তো । লোমবস্ত্র কি জিনিস, পাড়াগায়ের মানুষ দ্রব ঠাকরুণ কখনো শোনেন নি—তবে জিনিসটা যে বস্তুজাতীয় দ্রব্য তা বুঝতে পারলেন, বনে—সে তো আমার নেই! —লোমবন্ত্র নেই ? আপনি জপ করেন কি পোরে ? -এই সাদা থান পরেই জপ করি, আর কোথায় কি পাৰো ? বাড়ীখানা গলির মুখে হ'লেও প্রায় সম্বর রাস্তার ওপরে। অনেক রাত পৰ্যন্ত গাড়ীঘুেড়িা রাস্তার গোলমাল থামে না। নিরিবিলি বনজঙ্গলের মধ্যে বাড়ীতে একা থাকা দ্রব ঠাকরুণের চিরদিনের অভ্যাস, এত গোলমালে বড়ই অস্বস্তি বোধ করতে লাগলেন তিনি। छेः, क् िभूविानरे नज़ cशन ! नाः कानैद्र नाक चूत्रांद्र कथन !