পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/২২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবাগত 는 이 কৃষ্ণলাল চমকিয়া উঠিল, বস্থ ড্রাগ সিণ্ডিকেটের মালিক নৃত্যগোপাল বস্থ মহাশয় স্বয়ং ! বস্থ মহাশয় কৃষ্ণলালের দিকে স্থির দৃষ্টিতে চাহিয়া বলিলেন, শুকুন একবার এদিকে— কৃষ্ণলাল ভিড়ের পাশ কাটাইয়া কিছু দূরে বস্ব মহাশয়ের সঙ্গে গিয়া অপ্রতিভের মত দাড়াইল । বস্ব মহাশয় বলিলেন, এ কি হচ্চে ? কৃষ্ণলাল অপরাধীর মত মাথা চুলকাইতে চুলকাইতে বলিল,—আঞ্জে, আজ্ঞে, একবার চর্চাটা রাখচি, নইলে— বস্থ মহাশয় বলিলেন, তাই তো বলি এ কি কাগু ! গত দিন পাচ ছ'য়ের মধ্যে অফিসে আপনার নামের স্লিপ নিয়ে বোধ হয় একশো কি দেড়শো খদের গিয়েছে। এত ওষুধ বিক্রি গত ক’মাসের মধ্যে হয়নি। একে তো এইডাল সিজন যাচ্চে, আমি তো অবাক ; সবাই বলে লালদীঘির মোড়ে আপনাদের পাবলিসিটি অফিসার, তারই মুখে শুনে--আমি বলি আজ নিজে গিয়ে ব্যাপারটা কি দেখি তো নিজের চোখে । তা আমি খুব সন্তুষ্ট হয়েচি, আপনার এরকম কাজে— 蠶 কৃষ্ণলাল বিনীতভাবে বলিল, আজ্ঞে, ভাবলাম ছোকরা ক্যানভাসারদের মত থিয়েটারী রামের গলা কোথায় পাবেী—তবুও একবার দেখি দিকি— বম্ব মহাশয় বলিলেন, শুনুন । ওসব থাক। আপনি আজই আপিসে অস্বিন এক্ষুনি । আপনাকে আজ থেকে হেড ক্যানভাসার য়্যাপয়েণ্ট করলাম। ষাট টাকা মাইনে পাবেন আর কমিশন, শুধু তদারক ক’রে বেড়াবেন কে কেমন কাজ করচে, আর ছোকরাদের একটু তালিম দিয়ে দেবেন, বুঝলেন না ? আম্বন চলে আমার গাড়ীতে— সন্ধ্যাবেলা ।--নবীন কুণ্ডুর লেনে খোলার ঘরের সংকীর্ণ রোয়াকে গোলাপী ক্যানেক্সাকাটা তোলা উকুনে আঁচ দিয়া প্রাণপণে পাখার বাতাস করিতেছে, এমন সময় বাহিরে কে পরিচিত গলায় ডাকিল--গোলাপী ও গোলাপী, বাইরে এসে জিনিসগুলো ধরে দিকি । হাত ভেঙে গিয়েচে— পারমিট আজই সেই আশ্চৰ্য্য ব্যাপারটি আমার জীবনে ঘটেচে । এমন সব অত্যাশ্চৰ্য্য কাণ্ড ও মানুষের জীবনে ঘটে पार्श्व ! বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। এখনও ভাবলে বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে পড়চি এক একবার ••• ভান্দ্রের ভরা নদী। উভয় তীরের বনভূমির শাখা প্রশাখা জলের ওপর মত হয়ে আছে, এক এক জায়গায় জলমগ্ন নল-খাগড়ার বন নদীর স্রোতোবেগে থরথর করে কঁপিচে। এমনি এক স্থানে জলের ওপর কলমি শাকের দাম দেখে নৌকোর মাঝি সয়ারাম শাক তুম্বতে ব্যস্ত হয়ে পড়লো নৌকা থামিয়ে ! আমার সঙ্গী নকুড় চক্কত্তি তাকে বকচে-সন্দে হবে,