পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/২২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

象> e বিভূতি-রচনাবলী আমিই বিনীত ভাবে বল্লাম, আমার এ অঞ্চলে তত বেশি যাতায়াত নেই। কাজেই অনেক লোকেরই নাম শুনি নি। میه একটা সাবেক আমলের বড় বাড়ীর সামনে আমরা গিয়ে দাড়ালাম। বাড়ীটা দেখেই বুঝলাম এক সময়ে এ বাড়ীর মালিকের দেশের জমিদার ও শাসক ছিল, যদিও এখন এদের সে অবস্থা নেই। থাকলে রাস্তা থেকে ডেকে এনে আমায় মেয়ে দেখাতে না । - একটি বেশ স্বন্দর মত ছোকরা আমাদের ডাক শুনে বাইরে এলো, তারপর এলেন বাড়ীর কৰ্ত্ত স্বয়ং সীতানাথ রায় । আমাদের সাদরে নিয়ে গিয়ে বসালেন বৈঠকখানার মধ্যে। খুব বড় সাবেকী বৈঠকখানা, দেওয়ালে বড় বড় হরিণের শিং, ঝাড়লণ্ঠন টাঙানো, বড় বড় পুরোনো বিবর্ণ ছবি ভেতরে বাইরে ঝুলনে। বৈঠকখানার এক পাশের তক্তপোশের ওপর অনেকগুলি বাদ্যযন্ত্ৰ—সেতার, তানপুর, ডুগিতবলা ইত্যাদি। মনে হ’ল সেগুলো ব্যবহার করবার লোক আছে এ বাড়ীতে। বেশ যত্বে তদ্বিরে গুছিয়ে রাখা । এক কোণে আট দশ গাছ বড় হুইলের ছিপ। ভট চাজ মশায় আমায় দেখিয়ে বল্লেন—এই ইনিই, এরই নাম রামলাল চাটুয্যে— এমন কিছু বিখ্যাত লোক আমি নই, অথচ কথার ভাবে মনে হ’ল আমার সম্বন্ধে এদের মধ্যে নিশ্চয়ই আলোচনা হয়েচে । সীতানাথ বাবু আমার দিকে চেয়ে বল্পেন—আপনার পিসেমশায় ভবশঙ্কর বাবুর সঙ্গে আমার যথেষ্ট পরিচয় । তিনি আমার সঙ্গে একবার আপনার কথা বলেছিলেন, তখন আপনি কোথায় পশ্চিমে চুনের ব্যবসা করতেন— খুব ব্যবসার ঝোক আপনার । এই তো চাই বাঙালীর । চাকরী চাকরী করে দেশ ऊंझम्न | বিনীত ভাবে বল্লাম-চুনের ব্যবসা করি নে, করবার চেষ্টায় গিয়েছিলাম বটে। —কোথায় যেন সেই ? —আঞ্জে পশ্চিমে, বিন্ধ্যাচলের কাছে। ঘুটিং পাথর কিনে পুড়িয়ে চুন করে, সেখানে বড় বড় ভাটি আছে চুন পোড়ানোর। —এখন কি করা হয় আপনার ? —বিজনেস করি কলকাতায় এক বন্ধুর সঙ্গে ভাগে । আমাকে ‘আপনি বলবেন না, আপনি পিশেমশায়ের বন্ধু, আমাকে —তা'তে কি তা'তে কি বাবাজী ব্রাহ্মণসন্তান, কুলীনের সস্তান, সব নমস্ত। কত বড় কুলীন বংশ আপনারা— g এইবার খানিকট আমার কাছে পরিষ্কার হয়ে গেল। সীতানাথ রায় মশায় পুরাতনপন্থী লোক, এখনও কৌলিন্ত মানেন, আমাদের কুলীন হিসেবে এক সময়ে বেশ নামডাক ছিল বাবা বলতেন। এখন আর ওসব কে মানে বা গ্রাহ করে ? তবে এই সব অজ পাড়াभैंकिङ्ग সীতানাথ রায় মশায়ের চেহারা আমার খুব ভালো লেগেচে। বেশ লম্বা, দোহার,