পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/২৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবাগত २89 একটু পরে জল নিয়ে পীতাম্বর ফিরে এল, আমরা হাত পা ধুয়ে বিশ্রাম করলাম। রাত্রের আহারাদিও শেষ হ’ল । আমাকে সঙ্গে করে নিয়ে গিয়ে টানা বারাণার একপাশে একট। ঘরে বৃদ্ধ আমার শোয়ার জায়গা দেখিয়ে দিলে । বিছানায় সবে শুয়েচি। এমন সময় একটি স্ত্রীলোক আমার ঘরে ঢুকলেন। স্ত্রীলোকটির রং বেশ ফর্সা, বয়স চল্লিশের কম নয়, হাতে মোটা সোনার বালা, পরনে রাঙাপাড় শাড়ী । আমার মায়ের বয়সী। দেখে আমি একটু সঙ্কুচিত হয়ে পড়লাম। উঠে বসবার চেষ্টা করলাম বিছানা থেকে । তিনি বল্লেন—না না থাক, তুমি শোও। বড্ড কষ্ট করে এসেচ, কিছু খাওয়া তো হ’ল ন!—কিই বা ঘরে আছে ? এমন সময় আবার বৃদ্ধটি ঘরে ঢুকে এমন একটি কথা বল্লেন, যাতে আমি আবার ভাবলাম বুদ্ধটির মাথা নিশ্চয়ই খারাপ। তিনি স্ত্রীলোকটির দিকে চেয়ে বল্পেন—কেমন, পছন্দ হয় ? স্ত্রীলোকটি বল্লেন—সে কথা এখন কেন ! বাছ ঘুমুক । চলে আমরা যাই এখন । ওঁরা চলে গেলে আমি ভাবলাম, পীতাম্বরকে ডাক দেবো নাকি ? কি ব্যাপার এদের ? নরবলি-টলি দেবে না তে। আমায় ? পছন্দ কিসের হবে ? রাত্রি বোধ হয় কাটলে না। সকালে পীতাম্বরকে ডাক দিয়ে বল্লাম—চলে। সকালেই বেরুনো যাক । —তা যেমন আপনি বলেন বাবাঠাকুর। একটা কথা বলবো ? —কি ? —কাল আমি শোবার পরে সেই বুড়ো আমার কাছে গিয়ে অনেক খোঁজখবর নিলেন। আপনার বাড়ী কোথায়, কে আছে, অবস্থা কেমন, কিসে চলে—সে অনেক কথা। এ জায়গা ভাল নয়, এখুনি এখান থেকে যাওয়া ভালে । বৃদ্ধ কিন্তু পীড়াপীড়ি করতে লাগলেন, কাল রাত্রে আমাদের খাওয়া-দাওয়া ভালো হয় নি, আজ এখানে থাকতেই হবে। আমার সঙ্গে তার নাকি একটা কথাও আছে। —কি কথা ? —আহারাদি ক’রে নাও, ওবেলা হবে এখন সে সব— বৃদ্ধকে যেন বড় ব্যস্ত বলে মনে হ’ল ! বৃদ্ধ পিছন ফিরতেই পীতাম্বর আমায় এসে চুপি চুপি বল্লে—বাবাঠাকুর, বড় পি | —কি রে ? —এর ডাকাত। সদর দেউড়ি বন্ধ করে দিয়েচে । টাকার সন্ধান পেয়ে গিয়েচে । বাইরে যেতে দেবে না | —সত্যি ? —দেখে আস্বন নিজের চোখে সদর দেউড়িতে তাল লাগানে । ..] কথাটি কিন্তু আমার মনে লাগলো না । রাত্ৰিতে অন্ধকারে এরা যে কাজ অনায়াসে বি, র, ৭—১৬ @ 鹽