পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করেচেন । —বেগ ইওর পার্ডন ? থার্ড পণ্ডিত সাসপেও কথাটার উপর জোর দিয়া কথা বলিয়া নিজের ftલ ૭t૭ જ્ઞ দিয়া দেখাইয়া বলিলেন—মি, হাম— মিল গিবসন আঙ্গুলী বিলাতী, নানা দুভাগ্যের মধ্যে পড়িয়া ক্লার্কওয়েল সাহেবের স্থলে চাকরি লইতে বাধ্য হইয়াছে। বুদ্ধিমতী মেয়ে, ব্যাপারটা বুঝিয়া হাসিয়া বলিল, ওয়েল —ইউ মাদার—আই সন্‌—সাহেবকে বলুন মা— —ইয়েস, আই প্রমিস টু— - --ইn, মা, বুড়ো হয়েছি–ওল্ড ম্যান (থার্ড পণ্ডিত নিজের মাথার সাদা চুলে হাত দিয়৷ দিয়। দেখাইলেন ) না খেয়ে মরে যাপ—( মুখের কাছে হাত লইয়া গিয়া খাওয়ার অভিনয় করিয়া হাত নাড়িয়া না-খাওয়ার অভিনয় করিলেন ) ইর্টু নট— মেমসাহেব হাসিয়া বলিলেন, আই আণ্ডারস্টাও পাণ্ডিটু। —নমস্কার মাদার । থার্ড পণ্ডিত চলিয়া আসিলেন । যদুবাৰু ছুটি হইলে মলঙ্গা লেনের ছোট বাসাটায় ফিরিয়া গেলেন। দশ টাকা মাসিক ভাড়ায় একখানি মাত্র ঘর দোতলায়—এক বাড়ীতে আরও তিনটি পরিলারের সঙ্গে বসি । বন্ধুবাবুর স্ত্র দুইখানি রুটি ও একটু পেপের তরকারি অানিয়া সামনে ধরিলেন। যদুবাবু গোগ্রাসে সেগুলি গিলিয়া বলিলেন, আর একটু জল— যদুবাৰু নিঃসন্তান। ত্রিশ টাকা মাহিনায় ও দুই-একটি টুইশানির আয়ে স্বামী-স্ত্রীর কায়ক্লেশে চলিয়া যায়। জলপান করিয়া যদুবাৰু একটু মুম্ব হইয়া তামাক ধরাইলেন। • বন্ধুবাবুর স্ত্রী একসময়ে রূপসী বলিয়া খ্যাত ছিল, এখন নানা দুঃখকষ্টে সে রূপের কিছুই প্রায় অবশিষ্ট নাই আর, প্রায় সকল বন্ধ স্ত্রলোকের মতই স্বামীর উপর তাহার টানটা বেণী। স্বামীর কাছে বসিয়া বলিল, তোমার বড় শালীর বাড়ী থেকে চিঠি এসেছে, ছেলের অন্নপ্রাশন, যাবে নাকি ? এ রে একটু বক্রোক্তি, ঘগ্গাৰু সেটা বুঝিলেন। এটি বহুবার স্ত্রীর বৈমাত্রেয় দিদি, সকলে বলে এই মেয়েটির রূপ দেখিয়া যদুবাবু নাকি একদিন মুদ্ধ হইয়াছিলেন, তাহাকে বিবাহ করিবার চেষ্টাও করিয়াছিলেন ; কিন্তু শেষ পৰ্যন্ত ঘটে নাই। যন্ধুবাবুর স্ত্রী খোচা firજી ડ્રtrg મા હાથને 8 | –তুমি যাও। এখন মুর্শিদাবাদ যাই সে সময় কই ? ওরা নিতে আসবে ? • —তা জানি নে। আর এখন বড়লোক, যদিই ধরে গরিব কুটুম্বুর অঞ্চ তোয়াঙ্গ না