পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/২৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবাগত "ఆరీ ঠিক শ্রদ্ধা করতে পারে না। কারণ দু'তিনটি ভারতীয় নর্তকীর বাড়ীতে এই বৃদ্ধ বয়সেও উরি যাতায়াত। যাক সে সব কথা। এদিকে হেলিওডোরাসের উচ্ছৃঙ্খলতা ও অত্যাচারে তফশিলীর অনেকেই অতিষ্ঠ । সে লম্পট নয়, কিন্তু কুরাপায়ী, উদ্ধত--লোকের মান রাখে না, দোকানের জিনিস পারে নিয়ে গিয়ে দাম দেয় না—দু’তিনটি নরহত্য পর্য্যস্ত করেচে মুরার ঝোকে । কেন তা বলি। মেলিবিয়া নামে একটি রূপসী গ্রীক গায়িকা আজ বছর দুই হ'ল ব্যাক্ট্রয়া ও গান্ধার হয়ে এখানে আসে উপার্জনের চেষ্টায়। গান্ধাররাজ জেজিফাঁসের সভায় খুব নাম কিনে এসেছিল। এখানে সে পদার্পণ করার দিনটি থেকে তক্ষশিলার অনেক যুবক ও প্রৌঢ়ের নজরে পড়ে গেল । প্রণয়ের প্রতিদ্বন্দ্বিতার হিড়িক শুরু হ’ল। বহু গ্ৰীক যুবক, প্রৌঢ়, এমন কি বৃদ্ধের প্রণয় উপেক্ষা করে ( এদের দলে হেলিওডোরাসও ছিল ) সুন্দরী মেলিবিয়া প্রসন্নদৃষ্টিতে চাইল স্বমঙ্গল বলে এক ভারতীয় বণিকের প্রতি, এমনি অদৃষ্টির কের। প্রকাণ্ড দ্বন্দ্বযুদ্ধে আহবান করে হেলিওডোরাস সুমঙ্গলকে । মেলিবিয়া এতে বাধা দেয়—তার পর একদিন এক সরাইখানায় সামান্য ছলে ঝগড়া বাধিয়ে হেলিওডোরাস স্বমঙ্গলকে হত্যা করে। খুব গোলমাল বাধে এ নিয়ে । রাজদরবারে অভিযোগ উপস্থিত হ’ল হেলিওডোরাসের বিরুদ্ধে । ভারতীয় বণিকসঙ্ঘ রাজাকে ধরলে এর সুবিচার করতেই হবে । তাদের কাছে টাকা ধার না করলে রাজার চলে না । ফলে মহারাজ এ্যাটিআলকিডাস স্ট্রর সভাসদ ডিওনকে ডেকে বলে দিলেন কিছুদিনের জন্য হেলিওডোরাসকে সরিয়ে দেওয়া দরকার তক্ষশিলা থেকে। মালবের রাজা ভাগভদ্রের সভায় যে গ্রীক দূত ছিল, তার মৃত্যু হয়েছিল সম্প্রতি—সেখানেই আপাতত ওকে পাঠানো হোক। বলা হবে রাজার বিচারে ওর নিৰ্ব্বাসন-দণ্ড দেওয়া হ’ল । স্বতরাং গত শীত ঋতুর প্রারম্ভে হেলিওডোরাস মালবের রাজা ভাগভদ্রের রাজসভায় প্রেরিত হয় । g তক্ষশিলায় পুনরায় আসার উদ্দেশ্য ছিল—মেলিবিয়ার সন্ধানে ? কিন্তু হায়! সেই কেলেঙ্কারির পরে বেচারি গ্রীক গায়িকাকে এ রাজ্য ছাড়তে হয়েচে। মেলিবিয়া এখন পুরুষপুরের তালুকদার হিরাক্লিয়াসের অতিথি, অন্তত সেই রকম জনপ্রবাদ । . ডিওন বললে—হেলিওডোর, এখানে আবার এসে ঘুরঘুর করচে কেন ? : বুড়ে বয়সে ক্লি চাকরিটা খোয়াবে তোমার জন্যে ? - t * * s —-আজ্ঞে না, আমি এসেছিলাম শরীর সারাতে । ওখানে যে দিশি বন্ধি আছে তাদের হাঙের শেকড়-বাকড় ওষুধ খেলে হাতী মারা পড়ে, মান্তষ কোন ছাঁর । আর দেশটাতেও বড় বিষম জরের-— , , , , , . " —বাবা, তুমি আমার নয়নের আনন্দ । কিন্তু জুপিটারের শপথ করে বলচি, আমঠু হাতে একটি পয়সা নেই যা তোমার জন্যে রেখে যেতে পারে। এ হতভাগা রাজ্যে কিছু