পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/২৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৬৮ বিভূতি-রচনাবলী বল্লে—আপনার পিতা রাজসভায় কি পদে—আমি অনেককেই চিনি— মেয়েটি কিছু বলবার পূর্বেই আরও দুটি মুন্দরী মেয়ে—৪রই প্রায় সমবয়সী—সেখানে এসে পড়লো কোথা থেকে । ওদের দু'জনকে দেখে তারাও যেন অবাক হয়ে গিয়েচে । একজন বল্লে—কত খুজে বেড়াচ্চি তোমাকে—বাবা-এখানে কি হচ্চে ? : মেয়ে দুটি বিস্ময়ের দৃষ্টিতে হেলিওডোরাসের দিকে চাইলে । সে দৃষ্টির মধ্যে প্রশ্নও ছিল । হেলিওডোরাস বল্লে—আমি এখানে বেড়াতে এসে একটু বসেছিলাম। আমি জানতাম ন যে, আপনাদের বাগান। সেই সময় আপনাদের সর্থী--- মেয়ে দুটি সে কথার কোন উত্তর না দিয়ে একটু তাচ্ছিলোর সঙ্গে মুখ ঘুরিয়ে তাদের সখীর দিকে চেয়ে বল্লে--চলো । মহাদেবী ভাববেন—কতক্ষণ বেরিয়েচি– এমন সময় আরও তিন-চারটি তরুণী সেখানে এসে দাড়ালো । তাদের পেছনে দেখা গেল আরও দুটি আসচে। পেছনের মেয়েগুলি কলরব করতে করতে আসছিল । ওদের মধ্যে কে বল্লে—কি হচ্চে সব জটলা ওখানে ? কি হয়েচে ? নববসন্তের বাতাস যেন মদির হয়ে উঠেচে, ওদের সম্মিলিত কণ্ঠের তরল হাস্যকলরবে চুতমঞ্জরী এই পুপলাবণী তন্বী বালিকাদের নূপুর-নিকণে। হেলিওডোরাস প্রথমদুষ্ট সেই অপরূপ রূপসীকে সম্বোধন করে বল্লে—আমি চলে যাচ্চি, আমায় ক্ষমা করুন—আপনার পিতার নামটি তো শুনতে পেলাম না ভদ্রে ? একজন মেয়ে ভালো করে মুখ না ফিরিয়েই ঈষৎ উদ্ধত স্বরে বল্লে—ওঁর পিতার নাম মহারাজ ভাগভদ্র । তারপর সবাই মিলে একদল বনহংসীর মত লঘু পদক্ষেপে লতাবিতানের অন্তরালে অদৃষ্ঠা হ’ল । হেলিওডোরাস কোনরকমে বাগান থেকে বার হয়ে এল। স্বয়ং রাজকন্যা মালবিক ! এর রূপের খ্যাতি বিদিশায় এসে পৰ্য্যন্ত সমবয়সী দু’একজন বন্ধুবান্ধবের মুখে সে যথেষ্ট কনে এসেচে। নগরচতরে ভ্রমণশীল অনেক মেয়েকে দেখে মনে হয়েচে, রাজকন্যা কেমন রূপসী ? এই রকম ? আজ এভাবে••• আশ্চৰ্য্য ! কিন্তুহেলিওডোরাসের মাথার মধ্যে কেমন গোলমাল হয়ে যাচ্চে । উঃ কি গরম আজ! বিষ্ট্র জায়গা এই বেশনগর। এমন গরমে মাহব টেকৈ ? অপূৰ্ব্ব রূপসী এই রাজকন্যা মালবিকা। অপূৰ্ব্ব-অপূৰ্ব্ব-অপূৰ্ব্ব-দেবী মিনার্তার মত মহিমময়ী, এ্যাফ্রদিতির মত লাস্তমী, রূপবতী, সাক্ষাৎ রতিদেবী, এ্যাক্রদিতি, মূৰ্ত্তিমতী প্রণয়কবিতা, সাফের বহ্নিজালাময়ী প্রেমের কবিতা—সাফোর—