পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/২৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Հ Գ ծ বিভূতি-রচনাবলী পথে পা দিতেই একটি বৃদ্ধ ভিক্ষুক ওর কাছে ভিক্ষ চাইলে । ও অন্যমনস্কভাবে কিছু মুদ্র ওর হাতে দিতে গেল—দেখলে, সেটি একটি স্বর্ণমুদ্রা—ফিরিয়ে নিতে যাবে, কিন্তু পরক্ষণেই অপরিসীম ঔদাসীন্যের সঙ্গে মুদ্রাটি ভিক্ষুকের হাতে ফেলে দিলে। কি হবে অর্থ তার জীবনে ? নীরস জীবন, মরুময় জীবন । পিতা ডিওন মুখে থাকুন, কিন্তু তার বংশের পাপ—প্রজাদের অর্থশোষণ, তাদের উপর অত্যাচার— ভিক্ষুক স্বর্ণমুদ্র হাতে পেয়ে স্বপ্রত্যাশি আনন্দে উচ্ছসিত কণ্ঠে বলে উঠলো—বাস্বদেব আপনার মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করুন— হেলিওডোরাসের অন্তমনস্কতা এক চমকে কেটে গেল। বল্লে--কি বলচিস তুই ? এই #ांझ--- 學 ভিক্ষুক ভয়ে ভয়ে বল্পে --খারাপ কিছু বলি নি বাবা, সাসুদেব আপনার মনের পাসনা পুর্ণ করুন, তাই বলচি— —কে তিনি ? —মস্ত বড় মন্দির বাসুদেবের—জানেন না ? —খুব জানি । কেন জানবো না--ভারতীয় দেবতার মন্দির । দেখেচি– —তিনি যে জাগ্রত দেবতা বাবা, যে যা ভেবে মনত করে, তিনি তার মনের ইচ্ছা পূর্ণ করেন । আমি একবার-— হেলিওডোরাস আর একটি মুদ্রা তার হাতে দিয়ে বল্লে—যা পালা--মুণ্ডু কেটে ফেলে দেবে, আর একটি কথা বল্লে--- 4. সেই বৈশাখী জ্যোৎস্নারাত্রে উদভ্ৰান্ত হেলিওডোরাসের মনে ভিখিরীর এই কথা যেন দৈববাণীর আশ্বাস নিয়ে এলো । বাস্বদেব•••ভারতীয় দেবতা বাস্থদেব মনের বাসনা পূর্ণ হবে তার ? সে যা চায় ? মালবিকাকে না পেলে বিশাল ইরিথিয়ান সমুদ্র পাড়ি দিয়ে ছাগপদ বনদেবতাদের খুজে বের করবে সামোস দ্বীপের বন্য দ্রাক্ষাকুঞ্জের নিতৃত আশ্রয়ে, জলপাই ও মার্টল বৃক্ষের ঝোপে ঝোপে আৰ্দ্ৰ পাষাণমঞ্চে শুয়ে ওক পাইনের তলে সারাজীবন কাটিয়ে দেবে বন্তফল খেয়ে—ছাগপদ স্তাটিরদের দলে মিশে চিরযৌবন বনদেবীদের সন্ধানে...অথবা, বনদেবীদের প্রয়োজন নেই"--রাজনন্দিনী মালবিকার সন্ধানে সে চিরযুগ ঘুরবে— so পরদিন বৈশাখী পূর্ণিমা। সন্ধ্যার সময় সে গিয়ে বাস্থদেবের মন্দিরের বিশাল চত্বরের একপাশে এক গাছতলায় দাড়ালো। বিরাট পাষাণমন্দিরের চূড়া উৰ্দ্ধাকাশে মাথা তুলে দাড়িয়ে আছে--মন্দিরের অভ্যন্তরে শম্বঘণ্টার ধ্বনি-মন্দিরের প্রাঙ্গণে শত শত নরনারীর ভিড়—শ্বালে স্থানে পুপবিক্রেতা বসে আছে নানা বর্ণের পুষ্পের ডালি সাজিয়ে, দলে দলে মেয়েপুরুষ চলেছে মন্দিরে। সে জানে তাকে মন্দিরের মধ্যে প্রবেশ করতে হয়তে বাধা gদবে। তবুও সে ভিড়ের মধ্যে ঢুকে পড়লো সন্ধার অন্ধকারে গা মিশিয়ে। বেশি দূর যেতে