পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/২৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবাগত :ف۹ د স্বপ্ন দেখলে এক স্বন্দর তরুণ তাকে ঠেলা মেরে উঠিয়ে বলচে-লামার সঙ্গে এলো আমি তোমায় পথ দেখিয়ে দিচ্চি পালাবার— বাইরের অন্ধকার ছুরি দিয়ে কাটা যায় । এখানে ওখানে কুণ-প্রহরীদের অগ্নিকুও। আবছায়া অন্ধকারে চলেচে দুজনে, তরুণ আগে--ও পিছনে । পথপ্রদর্শক তরুণের মূৰ্ষি অন্ধকারে অস্পষ্ট, ভালো দেখা যায় না। সম্মুখেই অজিরাবতী নদী--- —নামো নামো, জলে নামে । মাভৈঃ– স্বপ্নাচ্ছল্পের মত নামচে হেলিওডোরাস । কনকনে বরফগল জল, গ্ৰথমে একহঁাট, পরে কোমর, তারপরে একগলা । ** আগে যে যাচ্ছে, সে বলচে,—ভয় নেই । চলে এসে । এই জায়গায় নদীর জল কম, চিনে রাখে। এই শালগাছ। ডুবে যাবে না। একগল জলে পড়তেই হেলিওডোরাসের ঘুম ভেঙে গেল-ভোর হয়েচে । স্বপ্নের কথা সে ভাবলে । কে এই কিশোর ? একে সে কোথাও আরও স্বপ্নে দেখেচে–পরিচিত মুখ । হঠাৎ মনে পড়লো—সেই বিদিশার প্রাচীন উদ্যানবাৰ্থি...সেই বাপীতট (স্বপ্নযোগে উদভ্ৰাস্ত সে এক দিন একেই দেখেছিল । )—কেন সে বার বার এই কিশোরকে স্বপ্নে দেখে ? কে এই তরুণ ? সারাদিন সে স্বপ্নের কথা ভাবলে । তার দৃঢ় বিশ্বাস হ’ল, আজ রাত্রে সে পালাতে চেষ্ট: করলে সে কৃতকাৰ্য্য হবে। গভীর নিশীথে তাবুর বার হয়ে এল সে—হাতে পায়ে শৃঙ্খল ছিল না । আসবপানমত্ত হ্ৰণ-প্রহরীরা অগ্নিকুণ্ডের ধারে তন্দ্রামগ্ন। অদূরে অজিরাবতী নদী, ওই সেই শালগাছ । নিঃশব্দে জলে নেমে চক্ষের নিমেষে সে ওপারে উঠলো গিয়ে শালবনের মধ্যে কুঞ্জ বিষ্ণুবৰ্দ্ধনের স্কন্ধাবারে । যুদ্ধ শেষ হয়ে গেল সেই শীতকালের প্রথমেই । দীর্ঘকাল পরে হেলিওডোরাস তক্ষশিলায় ফিরলে । মাসখানেকের মধ্যেই রাজার কাছে প্রার্থনা জানিয়ে মালবে সে পূৰ্ব্বপদে ফিরে এল । কিসের যেন আকর্ষণ, কে যেন টানে । একদিন সে নগরীর বাইরে বেড়াতে বেড়াতে সেই উষ্ঠানবাটীতে প্রবেশ করলে। সেই শৈবালাচ্ছাদিত পাষাণবেদী, সেই লতাগৃহ, সেই যক্ষমূৰ্ত্তি-শোভিত বাপীতট—সব তেমনি আছে। যেন কতকাল আগের স্বপ্ন। একদিন সেই রূপলীকে যেন স্বপ্নে দেখেছিল এখানে—সেই বসন্তকালের পুপসৌরভ, সেদিনকার সে সন্ধ্যাটি—সব যেন হিপোলিটাসের সেই করুণ কবিতাটি স্মরণ করিয়ে দেয়— আপেলগাছের ছায়া, রূপসী-কণ্ঠের গান, স্ববর্ণের দ্বাতি— প্রথম যৌবনের হারানো দিনগুলির দূরাগত বংশীধ্বনি। হায় ভারতীয় দেবতা বাস্থদেব! তোমার পাষাণদেউলের মত তুমিও কি কঠিন ? কিংবা আমি গ্রীক বলে, বিধৰ্ম্মী বলে, আমায় অবহেলা করলে ? কথা কানে তুললে না ? সে আজ নেই। সে রূপসী কোনো দুররাজ্যের রাজমহিষী। জীবনে আর তার সঙ্গে দেখা হবে না, সে জানে। কেউ বসে নেই তার জন্যে তিন বৎসর পরে । वेि. ब्र. १-sध्र