পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/২৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবাগত ३१डै —ই, ভদ্ৰে—কে বল্পে ? —সবাই বলে । আপনি গ্রীক, আপনার ওখানে যাতায়াত নিয়ে নগরীয় লোঙ্কজমের মধ্যে একটা কৌতুহলের স্বষ্টি হবেই তো—আপনি কি আমাদের দেবতা মানেন? —মানি । আজ বিশেষ করে মানচি। বাস্থদেব অতি দয়ালু দেবতা, মাচুধের প্রার্থনা উনি শোনেন, আজ বুঝলাম । মেয়েটি বিস্ময়ের স্বরে বল্লে—আজ ? কেন ? —আজই। অভয় দেবেন ভদ্রে ? মার্জন করবেন একজন বিদেশী লোকের গ্ৰগলভত ? মেয়েটির মুখ হঠাৎ যেন বিবর্ণ হয়ে গেল, পরক্ষণেই সে-মুখে সাহস ও কৌতুহলের দীপ্তি ফুটে উঠলো—সেই সঙ্গে যেন লজ্জাও । মেয়েটি যেন আগে থেকে অসুমন করেচে–সে কি শুনবে এই রূপবান গ্ৰীক যুবকের মুখ থেকে । হেলিওডোরাস বল্লে—ভদ্রে, আপনাকে আর একটিবার দেখলে এই প্রার্থনা করেছিলাম দেবতার কাছে । 聯 মেয়ে রক্তিম মুখে চুপ করে রইল মাটির দিকে চেয়ে । কি দীপ্তিমী, মহিমময়ী মূৰ্ত্তি ! নিবিড় কৃষ্ণ কেশপাশে সেদিনকার মতই রক্তজবা ও যুথীগুচ্ছ । গ্রীবার কি অদ্ভুত ভঙ্গি ! হেলিওডোরাস বল্লে—আপনাকে না দেখলে বাচবো না । আমি এই তিন বৎসর উদভ্ৰাম্ভের মত বেড়িয়েচি । মেয়েটি প্রসন্ন হাস্তে বল্লে—কি হবে দেখে বলুন । দেবী যেন জাগ্রত হয়ে উঠেচেন—এই অদ্ভুত প্রসন্ন হাসির মধ্য দিয়ে অন্তরশয্যা থেকে সন্তজাগ্রতা প্রেমের ও করুণার দেবী যেন মূর্ত হয়ে উঠেচেন । হেলিওডোরাস সহাস্তে বল্লে—শুধু দেখবো দেবী, আমার হৃদয়ের সমস্ত অৰ্ঘ্য—যদি কোনোদিন— —এই জন্যে যেতেন আপনি বাস্থদেবের মন্দিরে ? ঠিক বলচেন ? —মিথ্যা বলিনি। কত পূজো দিয়েচি পূজারীদের হাতে—আর— হেলিওডোরাস কুষ্ঠিত মুখে চুপ করে রইল। —আর কি ? —মনোবাসনা পূর্ণ হ’লে বাস্বদেবকে মূল্যবান কিছু উপহার দেবো— রাজকন্যার মুখে মৃদ্ধ হাসি ফুটে উঠলো। বাস্বদেব ওর মূল্যবান উপহার পাবার প্রত্যাশা করেন কি না! এই বিদেশী যুবক বড়ু সরল। মায়া হয় ওর ওপর। মুখে বল্লেন মৃদ্ধ হেসে—তারপর বাস্থদেবকে তুলে যাবেন বুঝি ? —জীবন থাকতে নয় দেবী, আপনি আর বাস্থদেব এক তারে গাথা রইলেন আমার হৃদয়ে । দু'জনের কাউকেই ভুলবো না । রাজকন্যা বল্পেন—একদিন আমরা বাস্থদেবের মন্দিরে গিয়ে আপনাকে দেখি । হেলিওডোরাস বঙ্গে—আমাকে ? &