পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/২৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

३१br বিভূতি-রচনাবলী তোমাকে এক পয়সা দিয়ে যেতে পারবে না। নিজের আখের যাতে ভাল হয় তাই করে । অর্থই গান্ধারের আপেল, কপিলার স্বরা এবং কাশ্মীরী শাল। রাজকন্যাকে বিবাহ কর, ক্ষতি নেই, আখের দেখে নিও | হেলিওডোরাসের সঙ্গে মালবিকার বিবাহের কয়েকদিন পরে রাত্রে গভীর স্বযুপ্তির মধ্যে হেলিওডোরাস দেখলে, সেই নবীন স্বন্দর কিশোর, তাকে ঘুমের মধ্যে ঠেলে দিয়ে আবদারের স্বরে অভিমানে রাঙা ঠোঁট ফুলিয়ে বলচে—আমার কথা মনে আছে ? অামায় যা দেবে— কবে দেবে ? মনে থাকবে ? হেলিওডোরাস চিনলে--দু-বৎসর পূৰ্ব্বে মহামাত্য সঞ্চয়দত্তের উদ্যানে এই কিশোরকে সে স্বপ্নে দেখেছিল—কুণ-ৰ্তাবুতে রাতের অন্ধকারে একেই সে স্বপ্নে দেখে । একদিন মন্দিরে গিয়ে বিগ্রহের মুখ দেখে তার মনে হয়েছিল কোথায় যেন এ মুখ সে দেখেচে । আজ সে বুঝেচে — t হেলিওডোরাস বিস্ময়ে ও আনন্দে শিউরে উঠলো ঘুমের মধ্যে। ইনিই সেই পরম করুণাময় বাসুদেব ! জয় হোক তার। জয় হোক স্বপ্ন-বাস্থদেবের ! হেলিওডোরাস তোমাকে ভুলবে না । হেলিওডোরাস ভোলেওনি । দু-হাজার বছর মহাকালের বীথিপথের অস্পষ্ট কুজ ঝটিকায় কোথায় মিলিয়ে গিয়েচে । বিদিশা নগরী ও তার বাস্থদেবমন্দির আজ অতীতের ভগ্নস্তৃপ-কিন্তু তার প্রাঙ্গণতলে পরম ভাগবত হেলিওভোরাসের বিশাল গরুড়-স্তম্ভ ভক্ত ও ভগবানের স্মৃতিচিহ্ন বহন করে আজও মাখা তুলে দাড়িয়ে আছে। ...ওঁ নমো ভগবতে বাস্বদেবায়।.