পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/২৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অসাধারণ ఇtyళి মেয়েটি বলিল, তুমি থামবে বাপু, না বকে যাবে ? বাৰু শুকুন তবে বলি। কষ্ট ক্ষুর বার্তা ও কি জানে ? সংসারের কোন খোজ রাখে ও ? কৃতজ্ঞতার আবেগ বোধ হয় অসম্বরণীয় হইয়া উঠিল পুরুষটির । সে পুনরায় নম্র স্বরে বলিল—ত যা বললে ও সে কথা সত্যি বটে। ও আমাকে জানতি দ্যায় না । নিজি সব করবে। আমি তো খাটতি পারি নে--আমার এই ডান পাডা একটু খোড়া, ঠাটতি পারি নে—এই দেখুন বাবু এই পাড়া— মেয়েটি আঁচল দিয়া চোখ মুছিতে মুছিতে বলিল--নাও, আর বাবুদের সামনে তোমার প৷ বার করতি হবে না— কিন্তু দেখিলাম মেয়েটির চোখ ছল ছল করিয়া উঠিয়াছে। এই গনোরিয়া-গ্রস্ত খেড়া অকৰ্ম্মণ্য বৃদ্ধের প্রতি এতটা দরদ ওর ! দেখিয়া বিস্মিত হইলাম । সীতানাথ ডাক্তার বললেন—তুমি ধাইয়ের কাজ জানো বললে না ? পুরুষটি এ-কথার উত্তর দিল বলিল—খুব ভালো ধাই ! তা যে বাড়ী যাবে, এক কাঠ। করে চাল, একখানা করে কাপড়, একটি করে টাকা—ও-ই খরচ করে আমায় চিকিচ্ছে করাচ্চে বাবু। মেয়েটি উহাকে থামাইয়া বলিল—তুমি চুপ করে দিকনি ! তুমি কি জানো ও সবের ? বাবু, ধাইয়ের রোজগার আগে চলতে ভালই। এখন আপনাদের এখানে হাসপাতাল হয়েছে পোয়াতিদের জন্তি । সব লোক এখানে আসে । আমাদের কাছে কেন্ড যাবে ? ধান ভেনে যা হয়। দু মন ধান ভানলি পাচ কাঠা চাল পাওয়া যায়–কিন্তু বাবু, অসুখে ভুগে ভুগে আমার গতর গিয়েচে, আর তেমন খাটতি পারি নে। ধান ভানা বডড খাটনির কাজ । যেদিন ধান ভানি, আজকাল রাত্তিরি বডড পা কামড়ায়— আমি বলিলাম—তোমার কে কে আছে আর ? মেয়েটি সাফ উত্তর দিল—যম । —জাতে হাড়ি বললে না ? —হঁ্যা বাৰু। o —বিটকিপোতা থেকে এলে কি করে ? সে তে অনেক দূর । --নৌকো করে এ্যালাম বাৰু। —ভাড়াটে নোঁকে ? —অনেক কেঁদে হাতে পায়ে ধরে তেরো গণ্ডা পয়সা ঠিক হয়েল । ওই আমাদের গায়ের রতন মাজি । আমি তাকে ধরম-বাপ বলে ডেকেচি ৷ —ধানের চাষ কর ? —না বাৰু, ঘর-দোর নেই তার ধানের জমি বিচুলির ছাউনি একখানা ঘর, তা এবার খসে পড়ছে। না খুচি দিলি এবার বর্ষায় সে ঘরে থাকা যাবে না। বেলা হইয়াছিল। সেদিন চলিয়া আসিলাম । ইহার পর হইতে প্রায়ই দুদিন মঞ্চর