পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/৩০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অসাধারণ ఇూహి –না। ছু টাকা চিংড়ি মাছের সের। মাছ আর কি কেনবার জো আছে ? উনি গিয়ে ফিরে এলেন । –এবার রেশনের চালে কাকর খুব কম, কাকিম । আপনার রেশন আনেন নি ? —বুধবার আসবে রেশনে । এখনো আনা হয় নি। তোমার কাকা যেতে সময় পান নি । বিকেলে কলে জল আসতেই ওপরের ভাড়াটে গিল্পীরা বড় এক এক বালতি ঘড়া বসিয়ে দিলেন কলের মুখে । একজন একটা তুলে নিয়ে যায় তো আর একজনে একটা বসায়—এই জন্যে চৌবাচ্চায় মোটে কয়েক ইঞ্চির বেশি জল জমতে পায় না । গা ধোবার কি কষ্ট বিকেলে । এই গুমট গরমে স্নিগ্ধ জলে স্নান করতে পারলে কি আনন্দই পাওয়া যেতো। কিন্তু তা হওয়ার জে নেই। এক একজন ছোবড়া আর সাবান নিয়ে নামবে ওপর থেকে, আধ ঘণ্ট ধরে থাকবে । প্রথমে নামবে অভয়া, তারপর নামবে মতির দিদি, এরা দুজনেই ভীষণ ঝগড়াটে । যতক্ষণ তারা কলতলায় গা ধোবে, ততক্ষণ কলে এক ঘটি জল কারো নেবার জো নেই—তাহলেই বাধবে ধুন্দুমার ঝগড়া । - অভয়া বাঙাল দেশের মেয়ে। বেশ স্বন্দরী ও স্বাস্থ্যবতী । খামলীকে ডেকে বললে--ও দিদি কি হচ্চে ? —কুটনো কুটচি ভাই । —কি কুটনো ? —ঝিঙে আর টেডস । আলু তো বারে আনা সের উঠেচে । আমাদের সাধিতে কুলোলে তো কিনবো ! —রেশন এসেচে ? —না ভাই, বুধবারে আসবে। —আমায় আধপোয়া চিনি দিতে পারবে দিদি তোমাদের রেশন থেকে ? —আক্ষক আগে, দেখবো এখন । এদের মধ্যে সবাই সমান অবস্থার মানুষ । কেরানীর বে। পরস্পরের সঙ্গে ঝগড়া দ্বন্দ্ব করে এদের দিন কাটে। পান থেকে চুন খসলেই আর নিস্তার নেই। বিশ্বাস গিল্পী দলের মোড়ল, ওপরের ভাড়াটেদের সর্দার । তিনি সকলের হয়ে ঝগড়া করতে এগিয়ে আসেন। তার সর্দারিতে ওপরের মেয়েরা কোমড় বাধে, তাদের মধ্যে একজন হচ্ছে এই অভয়া । দেখতে স্বন্দরী হলে কি হবে, যেমনি স্বার্থপর তেমনি কুটিল মন । এই যে বললে.চিনি দিতে হবে, 'না' বললে আর রক্ষে আছে ? কোন কালে এক বাটি মুন ধার দিয়েছিল, সেই ঘটনার উল্লেখ করে খোটা দিয়ে বলবে, বরিশালের টানে—আমরা কি কোনদিন কিছু কাউকে দিই নাই কি ! সময়ে অসময়ে মুন রে—তেল রে—তা নিয়ে মনে থাকবে ক্যানে ? ঘোর কলি যে ! কাজের সময় কাজী, কাজ ফুৱালে পাজি—আচ্ছ। আমরাও কি আর কখনো কাজে লাগবে না। তখন যেন—ইত্যাদি । এই বাসাটাতে কি গুমট গরম। দক্ষিণ দিক চাপ, এতটুকু হাওয়া আসে না, প্রাণ «الاس-۹ . .fa