পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/৩০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

करनtश्रुद्भि* रैॐ ¢ সামান্য একটুখানি চেয়ে থেকে তাড়াতাড়ি মাদুর ছেড়ে উঠে এসে খামলীর পায়ে গড় হয়ে প্রণাম করে বললে—পোড়াকপাল আমার মা, ঘুমিয়ে পড়িচি এই অবেলায়। বেনবেলা থেকে ওপরে নিচে সব ঘর ধোলাম, পোছলাম, ছাদ বাট দেলাম, বলি মা ঠাকরুনর আসচেন, বাৰু আসচেন— তা ছাদ তো নয় গড়ের মাঠ, এই হাতির মত বাড়ী ধোয়ানো সামলানো কি এক দিনের কম্মে ? অম্বিন মা ঠাকরুন, আস্থন বাবা— গুমলী বললে—তোমার নাম মুক্তোর মা ? —বলে সবাই । বলে না, আদেষ্টের মাথায় মারি সাত খ্যাংরা। নামটাই আছে বজায়, যার জন্সি সে আর নেই। তা হলি কি আজ আমার ভাবনা— গুমলীর ওসব কথা ভাল লাগছিল না। তার ইচ্ছে হচ্ছিল এক দৌড়ে বাড়ীটার ওপর নিচে সব দেখে আসে। কিন্তু কী মনে করবে এরা। কী মনে করবে মুক্তোর মা । ওরা সবাই মিলে নিচের ঘরগুলো দেখলে । বড় বড় দুটো ঘর, প্রশস্ত থামওয়ালা ঝিলিমিলি বসানো বারান্দ, ওদিকে অন্য একটা ছোট রোয়াকের সামনে রান্নাঘর। শু্যামলীর বড় ছেলে কানাই বললে—ম, এ তে রান্নাঘর নয়, এ আমাদের কলকাতার বাসার ঘরের চেয়েও অনেক বড়। দ্যাখে৷ কেমন আলমারি দেওয়ালের গায়ে ? বড় মেয়ে ডলি বললে—কতগুলো জানলা দ্যাখো মা রান্নাঘরে । ওপরে সিড়ি বেয়ে দুড়দুড় করে সবাই উঠলো। শ্যামলী বললে—ওগো, দ্যাখো কি সুন্দর মেজে । কঁাচে শার্সি বসানো জানলা ! কানাই ও ছোট ছেলে বলাই একসঙ্গে চেচিয়ে বললে—কি সুন্দর সিনারি, দেখে যাও মা বারান্দ থেকে—ওই তো মাঠটার পরেই কেমন মুন্দর ছোট নদীটা, ওপারে সবুজ মাঠ, কেমন ঝোপ আর বাবলা গাছ, গরু চরচে—ও কি ফুল ফুটেচে ওপারের ক্ষেতে বাবা ? যদুবাবু বললেন—ও ঝিঙের ফুল । বর্ষাকালে সন্দের সময় ঝিঙের ফুল ফোটে কিনা! সত্যি, ভারি সুন্দর সিনারিই বটে, ওগো, দ্যাখো ইদিকে এসে ! কি ফঁাকা । শু্যামলী বললে—তেতলার ঘরটা দেখে আসি চলো । তেতলার ঘরটি অপেক্ষাকৃত ছোট। কিন্তু খুব বড় বড় তিনটি জানালা তিনটি দেওয়ালে । রাঙা মাটির পালিশ করা মেজে। দরাজ ছাদ, ছাদের ওপর থেকে বহুদূরব্যাপী মুক্ত মাঠের সবুজ বাণী এই আষাঢ় সন্ধ্যায় ওদের অস্তর স্পর্শ করলে। গুমলীর চোখে জল এলো। এ যে রূপকথার রাজবাড়ী তার কাছে, সে গরীব ঘরের মেয়ে, গরীব ঘরের বেী, কলকাতার বাসার অন্ধকূপে আজীবন কাটিয়ে আজ কি ভাগ্যে• এমন বাড়ীঘর নিজের মনে করবার অধিকার পেল। কানাই ইতিমধ্যে ছুটে এসে বললে—বাধাঘাট দেখে এলাম মা । একটু ভেঙে ভেঙে চটা উঠে গিয়েচে চাতালের। তবুও দিব্যি আরামে লাইতে পারবে। ওই তো—দেখা যাচ্চে—এই উঠোনটা পার হয়েই— যত্নবাবু বললেন—না, সাড়ে তিন হাজার টাকা নিক। জিনিসের মত জিনিস। বাড়ীর মত বাড়ী। ছেলেপুলে নিয়ে দরাজ জায়গায় বাস করে। এই তো পাশেই গায়েরীর্ক