পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/৩২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Oely दिङ्कडि-ब्रक्रमादजौ বাড়ী ৰিকী থাকলেই রায় বাহাদুর কিনবেন। এটর্নির আপিসে গিয়ে হয়তো জানা গেল খাড়ী গার্ড মর্টগেজ। প্রথম দুই বন্ধকী খতের টাকা শোধ দিয়েও বাড়ী কিলেচেন, জেদের বশবৰ্ত্তী হয়ে । দিনকতক জমি কেনাবেচা আরম্ভ করলেন । এই লেক অঞ্চলে, বালিগঞ্জ স্টোর রোড, গড়িয়াহাটী অঞ্চলের অনেক বাড়ী তার জমির ওপরে। এসব কাজে ঠকেছেনও অনেক, দায়শূন্ত ভেবে যে সম্পত্তিতে হাত দিয়েচেন, রেজিষ্ট্রি অফিস অনুসন্ধান করে দেখা গেল তার অবস্থা কাহিল। মানুষকে বিশ্বাস করা যে কত বিপজ্জনক । আজ সব করেও তিনি ফুরিয়ে গিয়েচেন। বড় ছেলে আপিসে বেরোয় । ভালো কাজ বোঝে, তার অভাব কেউ অনুভব করে না আপিলে, ঘরেও না । মেয়ে-ছেলেরা এখন মালিক হয়েচে, নিজেরাই ব্যবস্থা করে, তাকে জিজ্ঞেস করে না অনেক সময় । কেবল গিল্পী এখনো পুরনো দিনের স্বর বজায় রেখেচেন, তাকে না হুকুম করলে গিল্পীর চলে না। মুখনাড়া মুখ-ঝাড় সব তারই ওপরে। আসলে পুত্রবধুদের প্রতাপে তিনিও প্রায় অৰ্দ্ধ বাতিল। স্বন্দরী বড় পুত্রবধুটির দাপট সবচেয়ে বেশি, কলেজে-পড়া মেয়ে, মুখের কাছে কেউ এগোতে পারে না, মুখের লৌন্দর্ঘ্যে ত্রিভুবন জয় করতে পারে। বাড়ীর বি-চাকর তার কথায় মরে বঁাচে । বুড়ো-বুড়িকে বড় কেউ একটা গ্রাহের মধ্যে আনে না । তাই তো বলচেন, তিনি ফুরিয়ে গিয়েচেন । একষটি বছরেই ফুরিয়ে গেলেন , আজ গাড়ীর পঞ্চম চক্রের মতই তিনি অনাবশ্বক। ওই রাতুলপুরে তিনি প্রথম প্রেমে পড়েন । পুরুত-গিরি করতেন বিশ্বেশ্বর চক্ৰবৰ্ত্তা, তার মেয়ে, নাম নিরুপমা । শহরের তুলনায় —র্তার বড় পুত্রবধু প্রতিমার তুলনায় হয়তো নিরুপমা তত কিছু ছিল না, তবুও সে স্বনী ছিল, মুখশ্ৰী চমৎকার। বাড়ীতে আর কেউ থাকতে না পুকুত ঠাকুরের, নিরুপমার সঙ্গে বুড়ে জলপাইগাছের তলায় দুপুরের ছায়ায় লুকিয়ে দেখা হোত মাঝে মাঝে। ষোল বছরের স্বত্র কিশোরী। একদিন নিরুপমা দুটি পাকা আতা দু হাতে নিয়ে এসেছিল। হেলে বললে—তুমি আতা খাও ? —কেন খাৰো না ? –এই নাও । আমাদের গাছের আত । —শুধু আতা দিলে জাত নেবো না— নিরুপমা চোখ বড় বড় করে বললে—তবে কি ? —আর কিছু দিতে হবে ঐ সঙ্গে— -कि ? –এই দেখিয়ে দিচ্ছি কি-সরে এলো— —ধ্যেখ–ভারি তুষ্ট তো !** হাত বাড়িয়ে নিরুপমা ছুটে পালিয়ে গেল হরিণীর মত চটুল গুতিতে... जांच्च ७क श्नि ।