পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/৩৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

चयनांथांग्रणे அஇல் অবগু এও অতিশয়োক্তি। রোদ ওঠে নি, সবে তোরের আলো ফুটেচে মাত্র । ওর মা ওঠবার বিশেষ কোনো আগ্রহ দেখালে না । ছেলের এ নাকি-স্বরে চীৎকার সকাল বেলার দিকে—এ নিত্য-নৈমিত্তিক ঘটনা । হারু খানিকটা কান্নার পরে আপনি চুপ করে। বিছানা ছেড়ে উঠতেই বেশ আনন্দ লাগে । আজ কি স্বন্দর দিনটা । কেমন পাখীর ডাক বঁাশ গাছের মগডালে। কাল মা বলছিল আজ কুমড়োকাটা সংক্রাস্তি। যে যার গাছ থেকে যা পারবে চুরি করবে—শসা, লাউ, কুমড়ো—যার যা ইচ্ছে, কেউ কিছু বলতে পারবে না বা সাহসও করবে না। অন্ত কিছু নয়, গানি বুড়ির উঠোনের মাচায় সেই যে শসা গাছ ! চমৎকার শসার জালি জুলচে কঞ্চির আড়ালে আড়ালে। কতবার লোভ হয়েচে ওর, কিন্তু বুড়ি বড় সতর্ক। আজ ওবেলা রাতের অন্ধকারে একটা দা হাতে গোটা পাচ-ছয় শসার জালি আর গোটা শসাকে যদি সাবাড় করা যায়— উৎসাহে বিছানা ছেড়ে সে উঠে পড়লো। মন্টদের বাড়ী গিয়ে এখুনি পরামর্শ করতে হবে । খাওয়ার কথা সে ভুলেই গেল। এত কাল্প, এত অসুযোগ যে খাওয়ার জন্তে । এক ছুটে সে পৌঁছুল মন্টদের বাড়ী। মন্ট ওর জ্যাঠামশায়ের পাশে বসে সকালবেলা মুড়ি খেতে খেতে ধারাপাত মুখস্থ করছিল। হারুকে দূর থেকে আসতে দেখে সে বিশেষ কোনো উৎসাহ প্রকাশ করলে না, কারণ এখন জ্যাঠামশায়ের হাত এড়িয়ে খেলতে যাওয়া অসম্ভব । সৌভাগ্যের কথা মন্ট র জ্যাঠামশায় এই সময় তামাক সাজতে গেলেন বাড়ীর মধ্যে। হারু ছুটে এসে বললে—আজ কী দিন মনে আছে ? মন্ট পেছন দিকে সতর্ক দৃষ্টিপাত করে বললে—কী দিন ? —কুমড়োকাটা আমাবস্তে— —কে বললে ? —সকলকে জিজ্ঞেস করে দ্যাথ— —কি করবি ? —তুই আর আমি বেরুবো। গানি বউয়ের বাড়ী সেই শসা গাছ আছে তো ? আজ রাত্তিরে সব শলা—কি বলিল ? 暢 —তুই এখন যা, জ্যাঠামশায় আসচে, ওবেলা আমি তোদের বাড়ী যাবে। হারু সতৃষ্ণ নয়নে ওর মুড়ির দিকে চেয়ে বললে—কি খাচ্ছিল ? —মুড়ি । —ঙ্গে না একগাল ? এবার হারুর কানেও জ্যাঠামশায়ের খড়মের শব্দ পৌঁছেচে। সে তাড়াতাড়ি কাপড়ে অকারণ ডান হাতখানা মুছে মন্ট র সামনে পেতে বললে—শগহীর দে, তোর জ্যাঠামশায়s