পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/৩৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अनांथांब्रभ եծՊ তারপর—জার অালে নি । মাদার গাছটা খুজে পাওয়া গেল না। ভিজে ঝোপ-ঝাপ—কত পটপটি ফল দুলচে গাছে গাছে । বড় বড় পটপটি ফল। আজকাল সব ছেলেই বর্ষাদিশে পটপটি ফল ছোড়ে, তাদের শিখিয়েছিল সেই রজুন কাকা। একটা বঁাশের চোঙের মধ্যে পটপটি ফল পুরে একটা কাঠি দিয়ে ঠেলে দিলেই ফট-ফটাশ ! যেন বন্দুকের শব্দ ! তাই ওর নাম পটপটি ফল । আজকাল সবার হাতে দেখো একটা বঁাশের চোঙ আর কাঠ আর পটপটি ফলের গোছা । রজুন কাকা না থাকলে আজ আর কাউকে পটপটি ছুড়তে হোত না । দুটাে বড় বড় তিৎপদার ফুল ফুটেছিল উচুতে। লতার-আগে দুলচে। হাত বাড়িয়ে নাগাল পাওয়া যায় না। এক থোলো পটপটি ফুলই নিয়ে যেতে হবে কিন্তু বহু চেষ্টা করেও সে কোনোটাই সংগ্রহ করতে পারলে না । বেলা হয়েচে অনেক, ক্ষিদেও বেশ পেয়েচে । বাড়ী গিয়ে রুটি আর মাছের ঝোল খাবে—কি মজা ! এতক্ষণ রুটি হয়েও গিয়েচে । সে রোগা মানুষ, মা নিশ্চয়ই তার জন্যে অাগে করে রাখবে । আজ সে বেশ ভালো আছে, আজ আর জর আসবে না । জর বোধহয় সেরে গেল। একটু একটু খুব সামান্য শীত বোধ হচ্চে, কিন্তু সেটা জরের দরুন নয়। বর্ষাকাল, আর এই বনবোপে তো রোদ পড়ে না তাই, মনটুরও শীত করতো, যদি সে আজ এই বনে ঢুকতো। হারু ঝোপের বার হয়ে ছায়াবছল সরু বনপথ ছেড়ে চওড়া রাঙ্কায় এসে দাড়ালো । এই চওড়া রাস্তা ওদিকে নাকি কেষ্টনগর পর্য্যস্ত চলে গিয়েচে, বাবার মুখে সে শুনেচে । একলারি ধান বোঝাই গরুর গাড়ী মন্থর গতিতে আলচে ওদিক থেকে। হারু একটা পিটুলি গাছের তলায় আধ-রোদ আধ-ছায়ায় বসে বসে গরুর গাড়ী দেখতে লাগলো। বোধহয় একটু বেশীক্ষণ বলা হয়ে গেল। যে সময় উঠবে ভেবেছিল, সে সময় ওঠা হোল না । রোদটা বেশ মিষ্টি লাগচে । না, জর হয় নি তার । বর্ষাকালে রোদ সকলেরই ভালো লাগে । বাড়ীতে যখন সে পৌছলো, তখন বেলা বারোট। হাতে তার গোটাকতক পিটুলি ফল । ওর মা বললে—ওমা, ই কি কাণ্ড ! এই বলে গেলি ক্ষিঙ্গে পেয়েচে, আমি কখন রুটি করে বসে আছি । কোথায় ছিলি ? ভালো আছিল তো ? --ਂ —কোথায় ছিলি ? —মাদার পাড়তে গিয়েছিলাম বোষ্টমষ্কের বাগানে। -छद्र एव्र नि cङ] ? حس-rlنسس۔ কিন্তু ওর কথার ধরন আর চোখ মুখের ভাব ওর মায়ের কাছে ভালো বলে মনে হোল না। কাছে ডেকে বললে—তোর চোখ মুখ রাঙা দেখাচ্চে কেন রে ? ইঙ্গিকে সরে জায়, গা দেখি— বাপরে, গা পুড়ে যাচ্চে ! যা তয়ে পড় গিয়ে, আর খেতে হবে না। बिं. ब्र. १-२२