পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/৩৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छूई लिन রামনগর বারোয়ারি তলায় আজ খুব জাকের যাত্রা। কলকাতা থেকে দল এলেচে, বেশ বড় জল । রসিক বাড়ুয্যের যাত্রার দল, যার নাম এ অঞ্চলের লোকের যথেষ্টই শোনা, কিন্তু এত বড় দল কি পাড়াগায়ে আসে যখন তখন ? এবার বহু চেষ্টার ফলে ওদের আনা হয়েচে । রামনগর উচ্চপ্রাথমিক পাঠশালা থেকে ফেরবার পথেই কাতু এ সংবাদটি জোগাড় করে এনেচে । এ নিয়ে অনেক কথাবার্তাও হয়ে গিয়েচে কাতু ও তার বন্ধুবান্ধবের মধ্যে। ননী ওদের বাড়ী এল পেয়ারা পাড়তে। কাতুর বাবা দুর্গাচরণ মজুমদার চোখে দড়ি বাধা চশমা পরে বাইরের ঘরে বলে জমিজমাসংক্রান্ত কাগজপত্র দেখছিলেন। ননীকে দেখে বললেন—কি ? দুর্গাচরণ বড় কড়া প্রকৃতির মানুষ । ননী ভয়ে ভয়ে বললে—জ্যাঠামশায়, কেতে আছে ? 輸 —কেন ? কি দরকার তোমার ? —জ্যাঠামশায়, দুটো পেয়ারা পাড়বো ? —তা পাড়বে না কেন ? তোমাদের জন্তেই তো গাছ করে রাখা । কেন পাড়বে না ? ননীর সাহসে কুলোল না আর পেয়ারার সম্বন্ধে কোনো কথা তুলতে। সে চলে যাচ্ছে বাড়ীর বার হয়ে, এমন সময়ে কাতু তাকে দেখতে পেয়ে বাড়ীর ভেতর থেকে ছুটে এল । ননী বললে—ভাই, তোর বাবা পেয়ারা পাড়তে দিলে না— কাতু আশ্বাস দিয়ে বললে—বাবা এখুনি উঠলো বলে। নসবাপুর যাবে খাজনার তাগাদ করতে। সেই ফাকে তুই আর আমি পেয়ারা পাড়বো। আজ রাত্রে যাত্রা শুনতে যাবি নে ? —তুই যাবি ? দল খুব ভালো, না ? —ও বাবা । কলকাতার বড় দল, দেখিস কি চেহারা, কি সব সাজগোজ, কি গান— —তুই কি করে জানলি ? দেখিচিস নাকি ? —সবাই বলচে রামনগরের বাজারে । দুশো টাকায় এক রাত—আর আমাদের বেলেডাঙার দল আর-বছর ত্রিশ টাকায় এক রাত গাইলে—রামো, কিসের সঙ্গে কিসের কথা। ছুশো টাকা আর ত্ৰিশ টাকা । 喙 কাতু আর ননী খুব হেসে উঠলুে এক চোট। তাদের মনে হলো এমন একটা মজার কথা তারা কখনো বলে নি বা শোনবার স্বযোগ পায় নি। উৎসাহের চোটে কাণ্ডু রসিক বাড্রযোর দলের গুণাগুণ অনেক বাড়িয়ে বলে। তাদের দলের ভীম যে লাজে তাকে নাৰি সে দেখে এসেচে, এক হাড়ি ভাত ডাল তার সামনে বেড়ে দেওয়া হয়েচে, তা লে এক খাচ্চে । তার চোখ দুটো লাল ভাটার মত, দেখলে ভয় হয়। গলার স্থর কি ! যেন বাম্বের BBB DBDD S BBB BBBBBB DB BBBB BBBDS DDD DD DD DBB