পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/৩৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*38 दिङ्कठि-ब्रळ्नावलौ ব্যবসার দিন চলে গিয়েচে । কাৰ্ত্তিক মজুমদার বললেন—আরে দাদা, তোমরা হলে হাতী। গেলেও দু-পাচ হাজার, মরবে ন। আর আমরা হচ্চি মশা, সামান্ততেই কষ্ট পাবো। তারপর— নীলু বলচে-বাবা, ওই স্থাখে আওরংজেব—বাবা, ভারতবর্ষের ইতিহাসে অাছে আওরংজেবের কথা—সেই আওরংজেব— —জা, তুমি খোকা বোকো না । শরৎ নাথকে কাৰ্ত্তিক সব কথা খুলে বলেন নি। ব্যবসার গুপ্ত কথা কেউ বলে না । পাঁচশো মণ পাট তিনি চিনিলি কাপাসডাঙ্গার আডতে জমা করে রেখেচেন, গরুর গাড়ী অভাবে আনতে পারচেন না সদর আড়তে, এখান থেকে লরিতে বোঝাই দেবেন। গরুর গাড়ীর কি ব্যবস্থা করে থাকেন শরৎ নাথ, এইটি কাৰ্ত্তিক মজুমদার জানবার উদ্দেশ্যে বার বার সেই কথাই ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে বলতে লাগলেন । সাজাহান বলচেন—দেবো লাফ, দিই লাফ— নীলুর চোখ বেয়ে জল পড়চে। সে কথার অর্থ যে সব বুঝচে তা নয়, সাজাহানের কথা বলবার ভজিতে তার কান্না আসচে । নীলু বললে—বুড়ো কি বলচে বাবা ? ও লাফ দেবে কোথায় ? কাৰ্ত্তিক মজুমদার জবাব দিলেন—আঃ চুপ করে। শোন কি বলচে। দুষ্টুমি করতে নেই । দুষ্টুমি সে কি করলে, বুঝতে না পেরে নীলু চুপ করে রইল । আরও ঘণ্টাখানেক কাটলো। শরৎ নাথ পাচখানা গরুর গাডী কাল সকালে পাঠিয়ে দেবার জঙ্গীকার করেচেন । ar বললেন—কত সকালে ? –এই সাতটার সময় । —তোমার বাড়ী পাঠাবো, না আড়তে ? --সদর আড়তে । —লরি ষোগাড় আছে ? —সে জন্তে ভাবনা নেই। স্বল লরি দেবে বলেচে-ইষ্টশানে পৌঁছে দেবে মাল। --ভাড়া মণকর না টিপ পিছু ? —টিপ পিছু । { } জহরৎউলিস রাজসভায় আওরংজেবকে হত্য করতে গিয়েছিল এইমাত্র । খুব একচোট হাততালি পড়তেই কাৰ্ত্তিক মূখ তুলে চেয়ে দেখলেন। স্বলতান সোলেমানের সঙ্গে জাওরাজেবের কথা কাটাকাটি হচ্চে। কাৰ্ত্তিক মজুমদার বাস্ত হয়ে পড়লেন । কত রাত হয়েচে ? এগারো ? এ আর তিনি থাকতে পারচেন না। কাল সকালে উঠে সম্বর আড়তে শরৎ নাথের গ্রেন্থিত